সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা 



P.c: Google 














সমুদ্র ও পিঁপড়ের কান্না    
( তুষার চৌধুরী-কে)



সমুদ্র নুনের গা চেটে
পিঁপড়ের রতিক্রিয়ার পা চেটে
একটি চিত্রকল্প
না ফুটে উঠতে পেরে ঝরে গেল।

ঝরে গেল মরে গেল
এভাবেই ঝরে মরে যারা
বসন্তের অপাপ ইশারা

তুমি তার কানাকড়ি কড়ে আঙুলেও ধরতে চাও নি।

কিছুদূর হেঁটে দ্যাখো
দপ্‌দপে আলো জ্বেলে বার খোলা
কবন্ধ সম্রাজ্ঞী আর অবসন্ন ভাঁড় সেই দ্বারদেশে
পায়ুপথ ভ্রমণবিলাসী

তুমি সেই চাহিদার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখো
বেতো যাজকের ছদ্মবেশে।

নিসর্গের পেছনে হাওয়া দিয়ে
তিন ঠ্যাং সারমেয় একটি গাধাকে ভুল ভেবে
ঘোড়া বলে বন্দনা করেছে
মন্ত্রবলে গজিয়েছে ডানা
আগুনে পুড়লে পরে অর্ফিয়ুস বিচির বেদনা।

অথচ জারজ তো বেদনারও আছে - কয়েকশো
বেদনাবালা দাসী উরুদেশ ফাঁক করে
বাবুদের বিছানায় ভিজিয়েছে কাঁথা
গনোরিয়া সিফিলিস ঘাম
সেয়ানা ধর্ম অর্থে কাম
বঙ্গের বিভীষণ যৌতুক পায় শিরোনাম।

ট্র্যাপিজে কার্নিশে পা রেখে
সতর্ক হরিণ দেখে
ট্র্যাফিকে কি পরিবর্তন এলো
যমের দক্ষিণ দ্বারে কে বাজালো বগল আবার
আস্তিক কোপ খেয়ে খসে যায় নাস্তিক ঘাড়।

তুমি তো তখনও একা।

প্রতিষ্ঠান খুবলেছে যতভাবে পারে
ইঁদুরও খুবলেছে
কোথাও যাবে না বলে - দলবলে
জাহান্নামের জাহ্নবী
সে নেহাৎ মরজীবী কলম সরিয়ে রেখে
তুলে নাও গেলাস আবার

এ নরকে মুখ গুঁজে থাকাটাই বাহবা তোমার।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার ...
দীপঙ্কর বাগচীর কবিতা paul gauguin  ঈশ্বর ও গাধার সংলাপ   সকল কাজের কাজ, ফেলে আসে আমাদের গাধা এ জীবন ঘূর্ণমান, এ জীবন বস্তুতঃই বাধা কে তবে ফিরেছে দূরে, সন্ধ্যা সূর্যে এতো রঙ করা বিষাক্ত বীজের ক্ষেত ছুঁয়ে আছে যেভাবে পাহারা এই রাত্রি নমাজের, এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু, আছে নাকি দিনের অদূরে মানুষের মতো ঠোঁট, মানুষের মতো কেউ বসে আমার সমস্তবেলা কেটে যায় কীসের আবেশে ঋতুও যখন আসে ধস্ত হয়ে বিকারের প্রায় দূরে দূরে জ্বলে তারা, বালিকারা কোথায় হারায় দিনের ভিতরে দিন ডুবে গেলে গোলার্ধের পরে কে তবে এসেছ এই রাত্রিদিন এমন আষাঢ়ে এই রাত্রি নমাজের এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু আছে নাকি দিনের অদূরে বাতাস কচুরিপানার দেশে, এসে গেছি অবশেষে ভাঙা বাড়িটার আলো বলেছিলে সব ভালো কোন পথে তোমাকে হারাই  আমার তো কিছু নাই , অন্ধকার বনে তাই একা একা ঘুরে গেছি সব কিছু মিছি মিছি বাতাসের দোলা লেগে ,এসেছে সবাই যতো ভাবি এলোমেলো ,কুয়াশায় কারা এলো ঝোড়ো হাওয়া বুকে নিয়ে এপাড়া ওপাড়া দিয়ে উড়ে যায় টিন ছাদ ,দেখো সাঁই সাঁই তুমি বলেছ...
পূর্বা মুখোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা    ইতিবৃত্ত, ইতিবৃত্ত নয়...                  আঁচ ------- মরা অক্ষরের গায়ে যতটুকু প্রাণ, ততটুকু প্রেম। আমি আর ততোধিক নই। বাতাস ফুরিয়ে গেলে সর্বস্ব সমেত উবে যাব। ফেলে যাব দুটিমাত্র বই - 'ইতিবৃত্ত'।' ইতিবৃত্ত নয়'। ওরা কোনও পাঠক পাবে না। কড়াই --------- নেভা আগুনের আঁচ গসগসে হয়। উনুনের দূরছাই জ্বর। বাবা কি ওষুধ দেবে?রাত্তিরে উনোন ঘুমোবে? নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে কয়েকটা বছর? উনুন না জ্বেলে আমি কোনওদিন লিখতে  পারিনি। পালতেই পারিনি এই সামান্য জীবন ! 'এইসব সাময়িক উত্তেজনা ' উনি বলতেন। উনি, মানে শিয়রে শমন, আমি যাতে লেখাপত্র সুসিদ্ধ করতাম। অলীক ----------- রাত্রি একটার পর ঘড়ির কাঁটারা তীব্র হয় শ্বাসাঘাত গুণে গুণে লিখি জল দাও জল দাও জল দাও আমার শেকড়ে... জানলায় পর্দা ওড়ে, দেয়ালে তেষ্টার ছায়া পড়ে ঝুরিনামা শায়িত গাছের। দুহিতা --------- ধূপছায়া মেয়ে আহা ধূপছায়া মায়ের সন্তান পিছু পিছু দু পা হাঁটে, দু আঙুলে আঁচল জড়ায়। 'ও কি রে মা !  ভয় পাস ? আয় দেখি, কাছে ...