প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
সমুদ্র ও পিঁপড়ের কান্না
( তুষার চৌধুরী-কে)
সমুদ্র নুনের গা চেটে
পিঁপড়ের রতিক্রিয়ার পা চেটে
একটি চিত্রকল্প
না ফুটে উঠতে পেরে ঝরে গেল।
ঝরে গেল মরে গেল
এভাবেই ঝরে মরে যারা
বসন্তের অপাপ ইশারা
তুমি তার কানাকড়ি কড়ে আঙুলেও ধরতে চাও নি।
কিছুদূর হেঁটে দ্যাখো
দপ্দপে আলো জ্বেলে বার খোলা
কবন্ধ সম্রাজ্ঞী আর অবসন্ন ভাঁড় সেই দ্বারদেশে
পায়ুপথ ভ্রমণবিলাসী
তুমি সেই চাহিদার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখো
বেতো যাজকের ছদ্মবেশে।
নিসর্গের পেছনে হাওয়া দিয়ে
তিন ঠ্যাং সারমেয় একটি গাধাকে ভুল ভেবে
ঘোড়া বলে বন্দনা করেছে
মন্ত্রবলে গজিয়েছে ডানা
আগুনে পুড়লে পরে অর্ফিয়ুস বিচির বেদনা।
অথচ জারজ তো বেদনারও আছে - কয়েকশো
বেদনাবালা দাসী উরুদেশ ফাঁক করে
বাবুদের বিছানায় ভিজিয়েছে কাঁথা
গনোরিয়া সিফিলিস ঘাম
সেয়ানা ধর্ম অর্থে কাম
বঙ্গের বিভীষণ যৌতুক পায় শিরোনাম।
ট্র্যাপিজে কার্নিশে পা রেখে
সতর্ক হরিণ দেখে
ট্র্যাফিকে কি পরিবর্তন এলো
যমের দক্ষিণ দ্বারে কে বাজালো বগল আবার
আস্তিক কোপ খেয়ে খসে যায় নাস্তিক ঘাড়।
তুমি তো তখনও একা।
প্রতিষ্ঠান খুবলেছে যতভাবে পারে
ইঁদুরও খুবলেছে
কোথাও যাবে না বলে - দলবলে
জাহান্নামের জাহ্নবী
সে নেহাৎ মরজীবী কলম সরিয়ে রেখে
তুলে নাও গেলাস আবার
এ নরকে মুখ গুঁজে থাকাটাই বাহবা তোমার।
বাবু জ্বাইলে দিলি।অপরূপ।
উত্তরমুছুনসাবাশ! কাকা অনবদ্য
উত্তরমুছুন