পৃথ্বী বসুর কবিতা
তোমাকে
১
তোমার সমস্ত দুঃখ ম্লান করে বেঁচে থাকতে চাই।
দু-হাতে ব্যথার বীজ ছড়াও এখন, এইখানে--
একদিন গাছ হবে। আমি তার ছায়ায়-ছায়ায়
পোষা কুকুরের মতো ঘুরে ঘুরে জীবন-সন্ধানে,
সময় ফুরিয়ে দেব… আমাকে পিছনে ফেলে যাঁরা
দূরের উৎসব থেকে জ্বলে উঠছে আজ অন্ধকারে
তাঁদের নিয়তি আমি দূরদর্শী জ্ঞানীর প্রজ্ঞায়
টের পাই, যেন তাঁরা কুয়াশার নির্বাক পাহাড়ে
নিজেদের লক্ষ্যবস্তু নিজেরাই ঠেলে দিচ্ছে খাদে…
তোমার জীবন তুমি এইভাবে কেন অবসাদে
ব্যর্থ করে দেবে বলে মনস্থির করে বসে আছ?
নুয়ে পড়া গাছও যদি উঠে পড়তে পারে দুর্বিপাকে,
তাহলে তুমিও এসে তৈরি করো আলোর বলয়---
নতুবা কোথায় যাব, কার কাছে, কে নেবে আমাকে?
২
সফল বৃষ্টির দিন ধরে রাখতে পারিনি বলেই,
দু-চোখের পাতা জলে ভরে উঠছে যখন-তখন...
আমার সামর্থ্য নিয়ে তুমি যেন বিদ্রূপ কোরো না!
তোমার তো জানা আছে, তার ছিঁড়ে গেলে, দৈত্যমন
কীভাবে তছনছ করে আমাদের ভেতরে, স্পর্ধায়--
রক্তের ভেতরে ঢালে প্রত্ননক্ষত্র থেকে বিষ;
এখন পৃথিবী তাই নিরন্তর সীমাবদ্ধতায়
জীবনে কুড়িয়ে পাওয়া অলৌকিক স্পর্শের হদিশ
বাতাসে ভাসায়; আর দূরের সম্পর্ক থেকে ওম
কাছে এলে ভ্রান্ত লাগে, তাহলে কি এবারও সংযম
সমস্ত শরীর থেকে, মন থেকে, মুছে ফেলবে টান?
মিথ্যের মোড়কে আমি কতবার ঈশ্বরের দান
ছুঁড়ে ফেলে দেব দূরে, আগেকার মূর্খ অভিমানে!
তোমার প্রশ্রয়ে আজ শুরু করতে চাই, সাবধানে...
চমৎকার কবিতা। অত্যন্ত সংবেদনশীল গভীর লেখা। এটা পৃথ্বী বসুর জাদু।অসামান্য লেখা।
উত্তরমুছুনঅসামান্য! খুব ভালো কবিতা।
উত্তরমুছুনআহা
উত্তরমুছুন