সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা 














কয়েকটি লেখা
                               

[যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল
প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার
আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে
কালো কালি]

১।
গর্ত থেকে
পতন উপচে পড়ছে
আমার


বিশাল সব জাহাজ একে একে
শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে


মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা
আমার
আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও


২।
চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন
সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে
হাওয়া
নাড়ায় তাদের
একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে


বাইরে অনাদি শীতল কাল


৩।
একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে
কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে?
খাদ থেকে এখন আমার স্বর
হাউই ছুঁড়ল একটি-
তারপর?
জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত


৪।
আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ- 
শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া
এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস


আমি তোমার না-লেখার অধিকার


৫।
এভাবে উনি শেখান কাগজের কাজ
বাড়ির সবকটি তল,         এক ভাঁজে এসে 
জড়ো হল।           একটি ক্ষুদ্র মানুষ 
          সে ভাবছে
 ইমারৎ
    ভেঙে 
যাচ্ছে  
আসলে
বিস্ফোরণ বাড়িটির মধ্যে নিজের পুষ্পরূপ খুলে দিচ্ছে
অসংখ্য জানালা             পরাগ থেকে ঝুঁকে পড়ছে
তার নিজেরই মুখ
              গন্ধের
মতো উদ্বায়ী

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিস্মৃতির পাতা থেকে রবীন আদকের কবিতা সুখ-দুঃখ বুকের গভীরে কিছু দুঃখ থাকে সব মানুষেরই          চোখের পাতার নিচে জল      বুকের ভিতরে এক পবিত্র সমাধি                      গহন শীতল। বহতা হারালে নদী বালির বিস্তারে শুয়ে থাকে            চোখের পাতায় ফল্গুধারা,       বালি সরালেই জল অশ্রুর কিনারা। আমরা সবাই তবু সুখ নামে শুকপাখি পুষি            ছোলা-ছাতু তুলে দিই দাঁড়ে                             এবং ভাঁড়ারে যখন থাকেনা কিছু প্রাচীন দুঃখের কাছে যাই পাখি পিছু ডেকে বলেঃ কোথায় যাচ্ছ হে?                       পাপে,পূন্যে,মোহে নিরুত্তর হেঁটে যাই পুরাতন অস্তিত্বের কাছে মজা নদী জেগে ওঠে, সমাধির নিচে রাখি ফুল        সুখ-দুঃখ কাঁপে যেন চোখের পাতায়   ...
দীপঙ্কর বাগচীর কবিতা paul gauguin  ঈশ্বর ও গাধার সংলাপ   সকল কাজের কাজ, ফেলে আসে আমাদের গাধা এ জীবন ঘূর্ণমান, এ জীবন বস্তুতঃই বাধা কে তবে ফিরেছে দূরে, সন্ধ্যা সূর্যে এতো রঙ করা বিষাক্ত বীজের ক্ষেত ছুঁয়ে আছে যেভাবে পাহারা এই রাত্রি নমাজের, এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু, আছে নাকি দিনের অদূরে মানুষের মতো ঠোঁট, মানুষের মতো কেউ বসে আমার সমস্তবেলা কেটে যায় কীসের আবেশে ঋতুও যখন আসে ধস্ত হয়ে বিকারের প্রায় দূরে দূরে জ্বলে তারা, বালিকারা কোথায় হারায় দিনের ভিতরে দিন ডুবে গেলে গোলার্ধের পরে কে তবে এসেছ এই রাত্রিদিন এমন আষাঢ়ে এই রাত্রি নমাজের এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু আছে নাকি দিনের অদূরে বাতাস কচুরিপানার দেশে, এসে গেছি অবশেষে ভাঙা বাড়িটার আলো বলেছিলে সব ভালো কোন পথে তোমাকে হারাই  আমার তো কিছু নাই , অন্ধকার বনে তাই একা একা ঘুরে গেছি সব কিছু মিছি মিছি বাতাসের দোলা লেগে ,এসেছে সবাই যতো ভাবি এলোমেলো ,কুয়াশায় কারা এলো ঝোড়ো হাওয়া বুকে নিয়ে এপাড়া ওপাড়া দিয়ে উড়ে যায় টিন ছাদ ,দেখো সাঁই সাঁই তুমি বলেছ...