সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
একটি বিশেষ নিবেদন হাউ ডু ইউ ডু ভৌ ডেকেছে কুত্তা ব্যাটায় ম্যাঁও ডেকেছে বিল্লিতে স্বদেশপ্রেমের লাগল হিড়িক  পাহাড় থেকে দিল্লিতে প্রেমের জোয়ার এমন গোঁয়ার  উলটে গেলো ছিপ ডিঙি  পড়ল জ্বালে বোয়াল মাগুর  ট্যাংরা পুঁটি কই শিঙি  এসব আমিষ ঠুনকো রাবিশ হাক্কা নুডুল ম্যান্ডারিন  পাকিস্তানের সঙ্গে লুডো  চুকিতকিত খেলায় চিন  কার তাতে কী আমার ঢেঁকি  স্বর্গে গিয়েও ব্যেওসা চায়  কয়লা কালি পাথর বালি  বিক্রিবাটার ভীষণ দায়  দেশ যদি সব বুঝতে পারে  হয় যদি সব না-পসন্দ  এই দেখোনা স্বদেশপ্রেমের  পর্দা দিয়ে করছি বন্-ধ এই পাশে সব সৈন্য শহিদ  ওই পাশে ধায় আম্বানি  বিক্রিবাটা জোয়ারভাটা  রপ্তানি আর আমদানি                           শুভাশীষ ভাদুড়ী  ঋণ স্বীকার ও ব্লগজিনের সদস্য বন্ধুরা দীপঙ্কর বাগচী, প্রসূন মজুমদার, আনন্দী চট্টোপাধ্যায়, সৌভিক বসু ও অর্ণব চৌধুরী
গদ্য কোয়েরানটাইন শবর  অনন্ত  সময়-- যা বহমান । আমি তার থেকে একখণ্ড খামচে তুলে নেই। নিজেকে স্থাপন করি তার ওপর এবং আবিষ্কার করি একটি ভূখন্ড-- যার একমাত্র অধিপতি আমি। আমি রাজা, আমি মন্ত্রী, আমিই সেনাপতি, পাত্র, মিত্র, অমাত্য। আবার আমিই এই ভূখন্ডের একমাত্র প্রজা। আমি শাসক এবং শাসিত।স্বৈরাচারী এবং বিদ্রোহী। আমি এই ভূখন্ড শাসন করি, রক্ষা করি। দন্ড দেই। দন্ডিত হই। কারাগারে নিজেকে নিক্ষিপ্ত করি। আবার একসময় সেই কারাগারে সুড়ঙ্গ খনন করে নিজেকে মুক্ত করি এবং রাজার বিরুদ্ধে ঘোষণা করি যুদ্ধ। এইসব পরস্পর বিরোধী ঘটনা সমূহ এই ভূখন্ডে চলতে থাকে, চলতেই থাকে।উদ্ধত, দুর্বিনীতদের রাজা হিসেবে আমি বহিষ্কার করি, নির্বাসন দেই। যা কিছু সজীব, প্রাণবন্ত-- তা এই ভূখন্ডে নিষিদ্ধ, কেননা তারা সবসময়ই বিপজ্জনক। একবার একটা সিংহ এই ভূখন্ডে প্রবেশ করেছিল এবং আমি তৎক্ষনাৎ তাকে একটা খাটে রূপান্তরিত করেছিলাম। এইভাবে একদিন একটা চিতাবাঘকে আমি অতি সহজে টেবিলে এবং একটি শেয়ালকে চেয়ারে বদলে নিয়েছি। আমি বেশ মনে করতে পারি সেই হাতিটিকে যে আমার ভূখন্ডের প্রবেশদ্বার এর তোরনট
আলফ্রেড লিখটারস্টাইন-এর কবিতা অনুবাদ- হিন্দোল ভট্টাচার্য সকাল আর সমস্ত রাস্তাই পড়ে আছে বিবশ হয়ে, পরিষ্কার এবং স্বাভাবিক। মাঝেমাঝে শুধু একজন উন্মাদ লোক হুড়মুড় করে ছুটে যাচ্ছে। একজন অত্যন্ত স্মার্ট যুবতী তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করছে,- একজন রুটিবিক্রেতা, শুধু, আকাশের দিকে সুন্দর তাকিয়ে রয়েছে। মৃত সূর্য বাড়িগুলির উপরে ঝুলে আছে, ঘন হয়ে আছে কুয়াশা একটি বারের বাইরে চারজন মহিলা এলোমেলো পা ফেলছে এদিক ওদিক ক্যাবের ড্রাইভার ঘাড় ভেঙে পড়ে আছে রাস্তার উপর। আর সবকিছুই উজ্জ্বল ভীষণ, আলোকিত, পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। একজন বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ভেসে গেলেন উন্মাদের মতো, অন্ধকার নিয়ে এক অসুস্থ ঈশ্বর...এই দৃশ্যে... যা তিনি ভুলে যাবেন সহজেই অথবা মনে পড়বে না তাঁর... বিড়বিড় করে কিছু বলবেন...মারা যাবেন আর হাসবেন তিনি স্বপ্ন দেখবেন একটি সেরিব্রাল স্ট্রোকের...প্যারালিসিস এবং পচে যাওয়া হাড়ের। বন্ধু শুকনো পাতা রয়েছে পড়ে অমনোযোগী এমন কালো মেঘের নীচে মানায় না ধোঁয়ায় ঘেরা বসন্তকাল, তীব্র এমনদিনে মানায় না আর মানায় না তোমা
পেত্রার্কের কবিতা অনুবাদ - সৈয়দ কওসর জামাল (ইতালিয়ান নাম  ফ্রান্সেস্কো পেত্রার্কা, বিশ্বের কাছে পরিচিত পেত্রার্ক নামে। ইতালীয় এই কবি ও লেখকের জন্ম হয়েছিল ১৩০৪ সালের ১৮ জুলাই। বেঁচে ছিলেন প্রায় সত্তর বছর। পড়াশুনা যদিও আইন নিয়ে, ক্লাসিক সাহিত্যই ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। তিনিই ইতালিতে মানবতাবাদী দর্শনের উদ্গাতা, আর এই মানবতাবাদের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিল রেনেসাঁস যুগ। আজকের বিশ্ব পেত্রার্ককে জানে কবি হিসেবে। বিশেষ করে সনেট রচয়িতা হিসেবে। তাঁর কবিতায় লরার প্রতি প্রেম আদর্শ প্রেমের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে। পেত্রার্কের সনেট সব দেশেই শুধু গৃহীত হয়েছে তাই নয়, তাঁর সনেটের আঙ্গিক অনুসরণযোগ্য হয়েছে।) দুটি সনেট (টমাস ওয়েনয়ার্থ হিগিনসন-এর ইংরেজি অনুবাদ অবলম্বনে) ১ মধুর বাতাস ঘিরে থাকো সোনালি চুলের গুচ্ছ একরাশ ভেসে থাকো, ভাঁজে ভাঁজে তাদের সঙ্গেই মিশে থাকো শোভনসুন্দর হয়ে অতি প্রিয় সোনারং আকাশেই আঁকো আবার জড়াও তাকে, যে আমার হৃদয়ের প্রিয় অভিলাষ। তার দুচোখে তোমার দৃষ্টি প্রলম্বিত, যার সৌন্দর্যরতন আমার হৃদয়ে বেঁধে, হৃদয় নিঃশেষ করে তার বায়ু যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার সমস্ত
প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা   Edvard Munch  রাস্তায় এখন চশমা কিছু দেখে না  চশমায় আলো পড়ে  বিরক্ত চোখ বন্ধ করে শাটার  সেই মুহূর্তেই  রাস্তায় খুনটা ঘটে  আর  রাজসাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হয় একটা কালো বেড়াল  এদিকে  দিগন্ত বলে ব্যাপারটা ক্রমশ চুকেবুকে যাচ্ছে  অন্তর্জালে প্রায় সব সম্পর্কগুলোই  জড়ানো প্যাঁচানো আঠা নির্ভর  আর তুমি এর থেকে বেরোতে চাইছো  তোমার লোভ তোমায় আটকাচ্ছে  মোহ তোমায় থমকে দিচ্ছে  রাস্তায় খুন আর  ঘরের ভিতর আঠা  এর বাইরে  তোমার চশমা আপাতত কিছুই দেখতে পাচ্ছে না ... এভাবে এখন   বহু থেকে সরে যাও লুকাও  নিজেকে বুঝিয়ে চলো ব্যবধানই সব  হাতে হাত রেখেছিলে  আজ সেই হাতে অভিশাপ  এবার গোটাও  ছায়ার ভেতর ছায়া টিকে থাকা শুধু  তবু লোভ  এভাবে বাঁচার  এটুকুই সবুজ পরাজিত শতাব্দিতে বেঁচে আছো একথা স্বীকার করো না, বলা ভুল বেঁচে নেই, টিকে আছো স্বার্থপরতাই পুঁজি তোমার দূরত্ব সম্পদ  রাস্তাঘাটে, রেললাইনে যারা  বেঘোরে মরছে তাদের কি তোমার মত
দীপঙ্কর বাগচীর কবিতা paul gauguin  ঈশ্বর ও গাধার সংলাপ   সকল কাজের কাজ, ফেলে আসে আমাদের গাধা এ জীবন ঘূর্ণমান, এ জীবন বস্তুতঃই বাধা কে তবে ফিরেছে দূরে, সন্ধ্যা সূর্যে এতো রঙ করা বিষাক্ত বীজের ক্ষেত ছুঁয়ে আছে যেভাবে পাহারা এই রাত্রি নমাজের, এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু, আছে নাকি দিনের অদূরে মানুষের মতো ঠোঁট, মানুষের মতো কেউ বসে আমার সমস্তবেলা কেটে যায় কীসের আবেশে ঋতুও যখন আসে ধস্ত হয়ে বিকারের প্রায় দূরে দূরে জ্বলে তারা, বালিকারা কোথায় হারায় দিনের ভিতরে দিন ডুবে গেলে গোলার্ধের পরে কে তবে এসেছ এই রাত্রিদিন এমন আষাঢ়ে এই রাত্রি নমাজের এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু আছে নাকি দিনের অদূরে বাতাস কচুরিপানার দেশে, এসে গেছি অবশেষে ভাঙা বাড়িটার আলো বলেছিলে সব ভালো কোন পথে তোমাকে হারাই  আমার তো কিছু নাই , অন্ধকার বনে তাই একা একা ঘুরে গেছি সব কিছু মিছি মিছি বাতাসের দোলা লেগে ,এসেছে সবাই যতো ভাবি এলোমেলো ,কুয়াশায় কারা এলো ঝোড়ো হাওয়া বুকে নিয়ে এপাড়া ওপাড়া দিয়ে উড়ে যায় টিন ছাদ ,দেখো সাঁই সাঁই তুমি বলেছিলে লেখো , খান
বিপ্লব চৌধুরীর কবিতা  ছবিঃ বিপ্লব  চৌধুরী    কুয়ো দেখেছি পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে উঠে, দেখেছি তখনো সে ঘুমিয়ে রয়েছে,মুখের গভীর লালায় অংশত ভিজেছে বালিশ, ঘুমিয়ে আছে হাঁটু ভাঁজ করে গুটিসুটি মেরে, ভোরের ঠান্ডা বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠছে তার হাত ও পায়ের লোম,চাদরের যত্ন দিয়ে ঢাকি ওই শীতার্ত শরীর, দেখি মাথার কাছে রাখা বোতল টা একেবারে ফাঁকা, জল ভরে দিই সেই শূন্যতায়, এছাড়া, এইটুকু মায়াস্পর্শ বাদে আর কী-ই বা করতে পারতাম আমি, সাধ্য ছিলনা।তবু বরাবর  সাধ হয়েছিল নেমে যাই তার বুকের কুয়োয়, ডুবে যাওয়া চাঁদ তুলে আনি ছবিঃ বিপ্লব চৌধুরী   যমুনার জল প্রেম কি পাব না? না, অঞ্জনা তোমাকে আমি এই প্রশ্ন করছি না। যাজ্ঞসেনী, সোমলতা তোমাদেরও নয়।তবে কি ফুলের সুগন্ধ অথবা পাতার মর্মরে সব কৌতূহল রেখে যাচ্ছি আমি? তোমাদের সমস্ত অনুমান ও সংশয় ভুল হয়ে যাবে। আজ এই মর্মভেদী জিজ্ঞাসা একমাত্র নিজের কাছে একান্ত আমার।কিন্তু সেখানেও আমি কতো অসহায়, দেখো পশ্চিম বিকেল। উত্তরের নিতান্ত অভাবে নতমুখে বসে আছি একটি গাছের গোড়ায়। সদ্য নীড়ে ফিরে আসা পাখিরা আমাকে এবার
অর্ণব সাহার কবিতা স্বপ্নের কশেরুকা ১ অহংকারের বেশিটাই ফেনা তুমি সেই বাথটবে শুয়ে ফাঁপা বুদ্‌বুদ ছুঁড়ে মেরেছ আমায় । অসম্মান পিছলে গেছে দেয়ালে । আমি বর্ম, আমিই                                            প্রাইভেট আর্মি গড়চিড়োলি থেকে একলা হেঁটে এসেছি জলাজঙ্গল, পানাপুকুর, হাইরাইজ ও কলোনি-অধ্যুষিত এই                                    ৪৪ বছর পেরিয়ে... তুমি, আত্মসচেতন বালিকা মদের টেবিলে বসে বলেছ—“যে প্রেম খুঁজেছেন, কখনও আসবে না” কাউকে চাইনি আমি । বিশ্বাস করো তোমার দেড় বিঘৎ কাচের হৃৎপিণ্ডে আমি থুতু দিই । আমি, পেচ্ছাপ করি খোলা রাস্তায়... ২ তোমার স্তন, তোমার নাভি, জঙ্ঘা ও যোনিদেশ তোমার স্নায়ু, কানের লতি, কোমরের খাঁজ ঊরুতে গভীর ট্যাটু, যৌন-চুলে ছাঁটা হার্টসাইন এখনও শেষরাতের আচ্ছন্ন ঘুম নষ্ট করে কাত হয়ে শুয়ে রয়েছ । তোমার বিস্ফারিত পাছা বিস্মৃতির তলদেশ খুঁজে দেখতে বলে । আমি সেই কুয়োর অসম্ভব নীচে জ্যান্ত শোল মাছ দেখতে পাই ওর তলায় কাদাজল । আত্মার জীবাশ্ম লিখে-রাখা কতো দ্রাঘিমাংশে ওই জাহাজ ডুবেছিল ? শত ডুবুরির
সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা Edvard Munch  সংবদল তোমাকে বরফের দিকে নিয়ে যেতে যেতে সমতলে বৃষ্টি এসে গেছে এসেছে পাতা টোপানো জল আমাদের ঠোঁট নেই সমস্তই সংবদল রয় না একটি একটি উৎসব শেষ হয় আর একজন সমুদ্রহীন আহত রয়ে যায় প্রত্যেকটা উৎসব শেষে                      একএকজন নুনে মিশে যায় আমাদের বলে যায়না কখনও অথচ আমাদের শীতবোধে কত সারারাত! কত না ধোঁওয়া নিরুপম ঘরের ভেতর         আমাদের ক্রমাগত ছুঁয়ে ছুঁয়ে             গর্ভমোচা ফেনা পড়া ঘ্রাণ           ঘনিয়ে উঠছে। যাকে শুধু চেয়েছিলাম।               যার নেপথ্যে কেউ রয়না প্রসূতির মতো আরও একটা সূত্রে আছে–                       বহমান প্রসূতির মতো আরও সূত্র আছে –                      গাছে গাছে আলোর বারোয়াঁ ঘরবাড়ি ভরে যায় রহস্যময় ইনক্লাবে বৃষ্টি নামে       সন্তর্পণে            প্রশম দিবসে আরও একটা সূত্র আছে– হত্যার পরে দেহ নুনেই জমাবে তোতা কথা বলে মাঝখানে        দিন আনা          তোতা কথা বলে তোমার অনেক স্রোতের মতন যে কোনো দিকে                      আমাদের বাড়
পৃথ্বী বসুর কবিতা  তোমাকে ১ তোমার সমস্ত দুঃখ ম্লান করে বেঁচে থাকতে চাই। দু-হাতে ব্যথার বীজ ছড়াও এখন, এইখানে-- একদিন গাছ হবে। আমি তার ছায়ায়-ছায়ায় পোষা কুকুরের মতো ঘুরে ঘুরে জীবন-সন্ধানে, সময় ফুরিয়ে দেব… আমাকে পিছনে ফেলে যাঁরা দূরের উৎসব থেকে জ্বলে উঠছে আজ অন্ধকারে তাঁদের নিয়তি আমি দূরদর্শী জ্ঞানীর প্রজ্ঞায় টের পাই, যেন তাঁরা কুয়াশার নির্বাক পাহাড়ে নিজেদের লক্ষ্যবস্তু নিজেরাই ঠেলে দিচ্ছে খাদে… তোমার জীবন তুমি এইভাবে কেন অবসাদে ব্যর্থ করে দেবে বলে মনস্থির করে বসে আছ? নুয়ে পড়া গাছও যদি উঠে পড়তে পারে দুর্বিপাকে, তাহলে তুমিও এসে তৈরি করো আলোর বলয়--- নতুবা কোথায় যাব, কার কাছে, কে নেবে আমাকে? ২ সফল বৃষ্টির দিন ধরে রাখতে পারিনি বলেই, দু-চোখের পাতা জলে ভরে উঠছে যখন-তখন... আমার সামর্থ্য নিয়ে তুমি যেন বিদ্রূপ কোরো না! তোমার তো জানা আছে, তার ছিঁড়ে গেলে, দৈত্যমন কীভাবে তছনছ করে আমাদের ভেতরে, স্পর্ধায়-- রক্তের ভেতরে ঢালে প্রত্ননক্ষত্র থেকে বিষ; এখন পৃথিবী তাই নিরন্তর সীমাবদ্ধতায় জীবনে কুড়িয়ে পাওয়া অলৌ
 হীরক রায় চৌধুরীর কবিতা   রূপান্তর কোনো বিষয়ই এখন আর চ'লে ফিরে বেড়াচ্ছে না, বচন পরমাণু হতে গিয়েও  আধ খাওয়া জলের গ্লাসের মতো সত্যি হ'য়ে চোখের সামনে!চোখ!যত বৃদ্ধ  হোক দেখে চলেছে ছানি কেটে লেন্সের সাহায্য নিয়ে বেশ পরিষ্কার ,শেষের কবিতায় মহাপৃথিবীর সন্ধানে মাঝে  মাঝে জলও ঝরে আর তাতেই অবাক কান্ড ! ভেসে যায় আলপনা দেওয়া মেঝে, পুরোনো জমির ওপরের  কিন্ডারগার্টেন পাঠশালা; মোড়ের দোকানে মুরগির গলা কাটা হলে রক্তের ফোঁটা দূরে দাঁড়ানো লোকদের জামায়, তারা হাসিমুখে খাবার নিয়ে ঘরে নিশ্চিন্তে পৌঁছে যায় সন্ততিদের সঙ্গে নিয়ে খেয়ে দেয়ে ভাতঘুম দেবে বলে,শ্মশানে  দেহ ধোয়াবে যে সে বিমূর্ততার সীমানা পেরিয়ে  এসে অনন্ত সামনে ধুতির কোঁচা ধরে এলিয়েন   ব্রহ্মার জন্য হাপিত্যেশ করছে কিনা অথবা  একেবারে গেঁজেল মাতাল ব'নে যাচ্ছে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না;স্নায়ুরোগের অনন্য সংজ্ঞা নির্ধারণ হওয়ার পরপরই চাকার আধুনিকীকরণে মন দেবার পালা এসেছে, যদিও চাকার কার্যকলাপ বোঝার ক্ষমতা প্রেম, মায়া ও সখিপনা দিয়ে হবে না এটা বুঝতে গিয়েই পরজীব
ধৃতিরূপা দাসের কবিতা কৃষি ফসল দেখার জন্য আগে রুখে দাঁড়ানোটা খুব বেশি জরুরি। ফিরতে ফিরতে এরকম  আরো কিছুক্ষণ বেশি উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকলে   উঠোনে কিছুটা ছায়া ধুলো উড়লো... জলের সঙ্গে ধুলোরা ধরো কাছাকাছি পুঁই মিচুড়িতে গিয়ে মিশেছে আপ নেক্সট্   তারপর হাওয়া লেগে আরো কিছুদূর শুকোবে মাটি তার জল নিয়ে নিরাপদ ক্ষরণের দিক চিহ্নিত করে দেবে নাকি? হাওয়া লেগে লেগে আরও অনেকটা শুকনো উঠোন, ছায়া বা পিলার হতে পারে...  গাছের সঙ্গে প্রতিযোগিতা   প্রাকৃতিক ভাবে আর কোন অর্জন বাকি নেই বলে ঘাস কেটে রাখছি? নাকি অস্ত্রের কাছে জমা আছে সব আগুনের ব্যবহার ও নীলকণ্ঠ! বহুদূর উদ্ভিদ ছেঁকে ধরলে  বহুজন প্রেতছায়া নড়ে উঠলো প্রজন্ম শব্দকে মাঝেমাঝে বাহুল্য বলে মনে হয়। কেননা ফুলের গাছে ফুল যতোভাবে নির্জন ততখানি দৃশ্যের যুক্তিতে আসেনি কিছুই... কী ভীষণ সংকেতে নক্ষত্রেরা চুপচাপ  তোমাকে ধানের কাছে নিয়্র গিয়ে দাঁড় করালো  আত্মপক্ষ   জায়গা বদল হওয়ার আগে আমাদের ভোরে কণ্ডোম প্রয়োজন  কেননা আমরা বেড়ালে
প্রতীক ঘোষের কবিতা  ছবিঃ যোগেন চৌধুরী  রাই-বিরহকথা ১ শুনো ব্রজবালিকা গাঁথি কুসুমমালিকা কেন যাও ফিরে ফিরে বরষণ দিন মেঘ আসে ঘিরে বিরহ দিবস কাটে না যাম, পশু-পক্ষীকুল সকলে আসে ফিরে কেন আসে না ঘনশ্যাম... এখন নিঃস্পন্দ রাত থেকে নিঃস্পন্দ রাত নেমে আসে নিঃসাড়ে। এখন দেখি যমুনায় গভীর রাতে রাজহাঁসের পালকের মতো মসৃণ জ্যোৎস্না জল থেকে ফেনা উঠে আসে। আমি সেই ফেলে আসা মোহন-বাঁশি যে তোমাদের এমন রাতেই বহুবার ডেকে এনেছি। দেখেছি মেঘের মতো রঙিন চেলি-কাপড়ের উড়ে আসা। মখমলের ভিতর কেমন নিস্পন্দ মাংস আর আদিম গোপন ইশারা।  সেসব কান্না-জল আমি গোপনে গিলে নিয়েছি। উষ্ণ কপালে হাত রেখে দেখেছি আমার কররেখা মিলিয়ে গেছে। এখন এভাবেই রাত্রি পালটে পালটে যাবে। নদী থেকে উঠে আসবে লালা-ঝরানো গোসাপ আর ফুলে ওঠা মৃতদেহ। কদমবনে ভেসে বেড়াবে মৎস্যগন্ধ। পার্সোনা ব্যথার সমাস নেই বরং বিপ্রতীপে হাহাকার আছে তোমার শরীরে হাত রেখেছি শুনেছি কান্নার গাঢ় পতনশব্দ কতো সান্দ্র উষ্ণতা তোমার শরীর থেকে আমার হাত শুষে নিয়েছে। চেরি ফলের মতো লাল উল্লাস স্পন্দহীন মাংসের রাত এসব ছেড়ে এখন এ
পেত্রার্কের কবিতা অনুবাদ - সৈয়দ কওসর জামাল (ইতালিয়ান নাম  ফ্রান্সেস্কো পেত্রার্কা, বিশ্বের কাছে পরিচিত পেত্রার্ক নামে। ইতালীয় এই কবি ও লেখকের জন্ম হয়েছিল ১৩০৪ সালের ১৮ জুলাই। বেঁচে ছিলেন প্রায় সত্তর বছর। পড়াশুনা যদিও আইন নিয়ে, ক্লাসিক সাহিত্যই ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। তিনিই ইতালিতে মানবতাবাদী দর্শনের উদ্গাতা, আর এই মানবতাবাদের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিল রেনেসাঁস যুগ। আজকের বিশ্ব পেত্রার্ককে জানে কবি হিসেবে। বিশেষ করে সনেট রচয়িতা হিসেবে। তাঁর কবিতায় লরার প্রতি প্রেম আদর্শ প্রেমের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে। পেত্রার্কের সনেট সব দেশেই শুধু গৃহীত হয়েছে তাই নয়, তাঁর সনেটের আঙ্গিক অনুসরণযোগ্য হয়েছে।) দুটি সনেট (টমাস ওয়েনয়ার্থ হিগিনসন-এর ইংরেজি অনুবাদ অবলম্বনে) ১ মধুর বাতাস ঘিরে থাকো সোনালি চুলের গুচ্ছ একরাশ ভেসে থাকো, ভাঁজে ভাঁজে তাদের সঙ্গেই মিশে থাকো শোভনসুন্দর হয়ে অতি প্রিয় সোনারং আকাশেই আঁকো আবার জড়াও তাকে, যে আমার হৃদয়ের প্রিয় অভিলাষ। তার দুচোখে তোমার দৃষ্টি প্রলম্বিত, যার সৌন্দর্যরতন আমার হৃদয়ে বেঁধে, হৃদয় নিঃশেষ করে তার বায়ু যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার সমস্ত
আলফ্রেড লিখটারস্টাইন-এর কবিতা অনুবাদ- হিন্দোল ভট্টাচার্য সকাল আর সমস্ত রাস্তাই পড়ে আছে বিবশ হয়ে, পরিষ্কার এবং স্বাভাবিক। মাঝেমাঝে শুধু একজন উন্মাদ লোক হুড়মুড় করে ছুটে যাচ্ছে। একজন অত্যন্ত স্মার্ট যুবতী তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করছে,- একজন রুটিবিক্রেতা, শুধু, আকাশের দিকে সুন্দর তাকিয়ে রয়েছে। মৃত সূর্য বাড়িগুলির উপরে ঝুলে আছে, ঘন হয়ে আছে কুয়াশা একটি বারের বাইরে চারজন মহিলা এলোমেলো পা ফেলছে এদিক ওদিক ক্যাবের ড্রাইভার ঘাড় ভেঙে পড়ে আছে রাস্তার উপর। আর সবকিছুই উজ্জ্বল ভীষণ, আলোকিত, পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। একজন বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ভেসে গেলেন উন্মাদের মতো, অন্ধকার নিয়ে এক অসুস্থ ঈশ্বর...এই দৃশ্যে... যা তিনি ভুলে যাবেন সহজেই অথবা মনে পড়বে না তাঁর... বিড়বিড় করে কিছু বলবেন...মারা যাবেন আর হাসবেন তিনি স্বপ্ন দেখবেন একটি সেরিব্রাল স্ট্রোকের...প্যারালিসিস এবং পচে যাওয়া হাড়ের। বন্ধু শুকনো পাতা রয়েছে পড়ে অমনোযোগী এমন কালো মেঘের নীচে মানায় না ধোঁয়ায় ঘেরা বসন্তকাল, তীব্র এমনদিনে মানায় না আর মানায় না তোম