সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান



সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা



Edvard Munch 



















সংবদল

তোমাকে বরফের দিকে নিয়ে যেতে যেতে
সমতলে বৃষ্টি এসে গেছে

এসেছে পাতা টোপানো জল

আমাদের ঠোঁট নেই

সমস্তই সংবদল



রয় না

একটি একটি উৎসব শেষ হয় আর একজন
সমুদ্রহীন আহত রয়ে যায়
প্রত্যেকটা উৎসব শেষে
                     একএকজন নুনে মিশে যায়
আমাদের বলে যায়না কখনও
অথচ আমাদের শীতবোধে
কত সারারাত! কত না ধোঁওয়া

নিরুপম ঘরের ভেতর
        আমাদের ক্রমাগত ছুঁয়ে ছুঁয়ে
            গর্ভমোচা ফেনা পড়া ঘ্রাণ
          ঘনিয়ে উঠছে। যাকে শুধু চেয়েছিলাম।
              যার নেপথ্যে কেউ রয়না


প্রসূতির মতো

আরও একটা সূত্রে আছে–
                      বহমান প্রসূতির মতো
আরও সূত্র আছে –
                     গাছে গাছে আলোর বারোয়াঁ

ঘরবাড়ি ভরে যায় রহস্যময় ইনক্লাবে

বৃষ্টি নামে
      সন্তর্পণে
           প্রশম দিবসে

আরও একটা সূত্র আছে–
হত্যার পরে দেহ নুনেই জমাবে


তোতা কথা বলে

মাঝখানে
       দিন আনা
         তোতা কথা বলে

তোমার অনেক স্রোতের মতন
যে কোনো দিকে
                     আমাদের বাড়ি

আমাদের কবুতর
              অথবা বুলবুলি

আমাদের তোতা কথা বলে



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার ...
   " অন্ধকারে হাতে আসে হাত      কে তাকে ধরেছে অকস্মাৎ      কে সে? কথা বলো, কথা বলো।                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো "                                              ( শক্তি চট্টোপাধ্যায়) ঋণ স্বীকার ও ব্লগজিনের সদস্য বন্ধুরা দীপঙ্কর বাগচী, প্রসূন মজুমদার, আনন্দী চট্টোপাধ্যায়, সৌভিক বসু ও অর্ণব চৌধুরী
বিস্মৃতির পাতা থেকে রবীন আদকের কবিতা সুখ-দুঃখ বুকের গভীরে কিছু দুঃখ থাকে সব মানুষেরই          চোখের পাতার নিচে জল      বুকের ভিতরে এক পবিত্র সমাধি                      গহন শীতল। বহতা হারালে নদী বালির বিস্তারে শুয়ে থাকে            চোখের পাতায় ফল্গুধারা,       বালি সরালেই জল অশ্রুর কিনারা। আমরা সবাই তবু সুখ নামে শুকপাখি পুষি            ছোলা-ছাতু তুলে দিই দাঁড়ে                             এবং ভাঁড়ারে যখন থাকেনা কিছু প্রাচীন দুঃখের কাছে যাই পাখি পিছু ডেকে বলেঃ কোথায় যাচ্ছ হে?                       পাপে,পূন্যে,মোহে নিরুত্তর হেঁটে যাই পুরাতন অস্তিত্বের কাছে মজা নদী জেগে ওঠে, সমাধির নিচে রাখি ফুল        সুখ-দুঃখ কাঁপে যেন চোখের পাতায়   ...