সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
শুভ্রা মুখার্জীর কবিতা ছবিঃ নির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়  মায়া সভ্যতার লিপি ১ এভাবে দুপায়ে জল ছিটিয়ে ফিরে আসার কথা ক'জন মনে রাখে বলো পদ্যগুলি কথকতা কেন্দ্রিক  স্থানীয় সংবাদে লেগে থাকে হাঁসের পায়ের ছাপ  অতি অল্প হলেও সমস্ত জলজ স্বপ্নের গায়ে জড়িয়ে থাকে বেয়াড়া আঁশটে গন্ধ   সময় ভালো নয়  এইটুকু বলে তুমি স্বপ্নের শরীর থেকে সোনারঙ আঁশ বেছে নিতে নিচু হলে  বালিঘড়ি শুভেচ্ছা বাজায় মায়া আকাশের থেকে ভেসে আসে সন্তদের গান  ২ কেন যে লিখিত গল্পের মতো হয়ে যেতে চাও সুরম্য ঘূর্ণির গায়ে ছোট ছোট কাঁচফুল লেগে থাকে  অনর্থক খুলে পড়ে যায়  রঙদার অতীত থেকে ক্রমান্বয়ে উঠে আসে বুড়ো সিংহের মাথা  যক্ষ্মীর খুবলানো স্তন পাঁচিলের অযথা বিষাদ পকেটে বিষাদ ছাড়া আর কিছু নেই বলে একা শ্যাওলার সাথে চাঁদের কথন দৃশ্য অতিদ্রুত সংকুচিত হয়ে আসে   অলস দোকানের ঝাঁপে মিহি সুতোর সন্ধে নামে নিকানো শূণ্যতার মতো লাল রুমালের নিচে গল্পের কাহিনী অংশ ৩ যে রাস্তায় অল্প হেঁটে বাকিটুকু দৌড়ে এসেছ সেখানেই গাছের গভীর থেকে প্রতিরক্ষা ঝরে মায়
প্রজিত জানার কবিতা   চিত্র- যোগেন চৌধুরী ডায়েরি 2020 (এক) আমি স্পষ্ট দেখলাম মৃত্যুলিপি পেরিয়ে এক অদৃশ্য  সিঁড়ি সোজা আকাশের দিকে উঠে গেছে। অনেক ঊর্ধেব মেঘের তৈরী সেই শৈশবের হারিয়ে যাওয়া চিলেকোঠা বার বার আমি ঢোকার চেষ্টা করি কিন্ত দরজা ভিতর থেকে আটকানো আমি আমার শৈশবকে বলি বলি আমার কৈশোরের মুগ্ধতাকে বলি সারল্যকেও....দরজাটা একবার খুলে দাও তোমরা কি আছে ওখানে ? কিছুই নেই থাকলেও তোমাকে বলার মতো  কিছু নয় অনেক অনেক বছর হাওয়া ঢোকে নি সেই ঘরে অনেক অনেক বছর  পৌঁছয় নি আলো তোমরা তো জানতে শৈশবের হারিয়ে যাওয়া ঘরে এক নরম ফুসফুস থাকে . এক ঝিমিয়ে পড়া রোগা শ্বাসনালী ... দম বন্ধ হয়ে এলো। কেউ একবার দরজাটা খোলো আমি ওই ঘরে ঢুকতে চাই একবার। অনেক অনেক যুগ পর আমি সেই হারিয়ে যাওয়া  ঘরটাকে খুঁজে পেয়েছি। ডায়রি 2020 (দুই ) শূন্য হাইওয়ে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ভারতবর্ষ মাইলের পর মাইল তিনশো, পাঁচশো , সাতশো , হাজার হেঁটে যাচ্ছে শূন্য পথ, ধু ধু মাঠ, খোলা প্রান্তর আর উষর উপত্যকা পেরিয়ে জন্মভূমির ভিতর জন্মভূমি ঘরের ভিতর আর এক
জয়দীপ রাউতের কবিতা চিত্র শিল্পী– কথা নন্দী  পুরাণ   যে অমোঘ যন্ত্রণার সঙ্গে আজ পরিচয় হ'ল কে জানে হয়তো বা সে, শাপভ্রষ্ট কোনো অপ্সরা– নৃত্য অধ্যায়নকালে ভুল করে ঢুকে পড়েছিল কোনো মুনি, মহামুনিটির ধ্যানে... সেই থেকে এই অন্য পৃথিবীর হাওয়ায় হাওয়ায়  সে কেঁদে বেড়ায়, সে নেচে বেড়ায় অতিকায় প্যাডিস্টাল ফ্যানে   আতুর ঘটনা, দুর্ঘটনায় যে আলো পড়েছে সে কোন বিগত নক্ষত্র'র!  বাইরে দাঁড়াই এসে, দেখি ভোর, দেখি ঝ'রে গেছে বাগানের ফুলগুলো। আকাশে উড়ছে শুধু সাদা বকপাখি                     মেয়ের চুমুর মতো তুলো  প্রণাম  মহামায়ে জগৎ মাতে কালিকে ঘোর দক্ষিণে গৃহাং বন্দনং দেবী নমহস্তে পরমেশ্বরী  নমহস্তে পরমেশ্বরী নমহস্তে পরমেশ্বরী এই মন্ত্র মনে মনে উচ্চারণ করি উচ্চারণ করি উচ্চারণ করি আর কিভাবে কি জানি পঞ্চমুখী  ডানহাতখানি কী এক অব্যক্ত তীব্র যন্ত্রণায় সহসা রুপান্তর ঘটে রক্তজবায় নার্স শুধু আজ  বাগান পরিচর্যার কাজ আর কিছু নয় শুধু আজ অধীর আঘাতে তুমি তুলো আর গজ
সংক্ষেপে রবি বাবু  কবি দীপঙ্কর বাগচীর দৃষ্টি তে ছবিঃ দীপঙ্কর পাহাড়ি   শোনার জন্য নিচের লিঙ্কে যান https://youtu.be/CzMU9DUzkmE
শুভদীপ মৈত্রর কবিতা   ছবিঃ গুগুল চিলিতে, প্রকাশ্যে দূরের আগুনে হাত সেঁকে জানি লাভ নেই তবু আগুন এসময়ে যেখানে যেদিকে জ্বলে,                                চোখ পড়ে। ভাল লাগে যারা উল্লাসে জ্বালায়, পোড়ায়, এই যদি শেষ হওয়া হয়, শেষ হওয়া উদযাপন করে। প্রকাশ্য রাস্তায় গাড়ি ও আসবাব হিসেবের খাতা ভরা দেরাজ ও চার্চের কালো অর্গান  পোড়াতে পোড়াতে তাদের কানে ‘ইয়োরিকা’ বাজে, চৌমাথায় খানদানি চেয়ারে ঠ্যাঙ তুলে  শেষ রাতের মোচ্ছব থেকে লোটা ওয়াইন ও গেলাস                    তুলে আমাদের জানায় – চিয়ার্স।  তার আগে তুমুল তুমুল পিটিয়ে গেছে আইনি সন্ত্রাস আইরন ম্যানের পোশাকের থেকে বেরিয়েছে  জলের গোলা, কান্না ও স্নায়ুর গ্যাস ভলকে ভলকে তবু এর রাস্তা ছাড়েনি, কতগুলো ‘সন্ত্রাসবাদী’ মুখোশে, কালো চশমায়, হুল ডাকা চিৎকারে                             – আশ্চর্য সুপার ভিলেন। তবু এই আঁচ আমার নয়। নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। বুড়ো চেয়ার বলল, বিপ্লব উল্লাস নয় হা!পানি টানা প্রগতি-পত্রিকা ভ্রু কোঁচকাল কফি হাউজের উত্তরীয়-পরা লেখকেরা আড়চোখে চেয়ে দেখল – এসব আপদ            এখানে আবার ফিরে আসবে না
ঝুমকা রায়ের কবিতা   ছবিঃ এডওয়ার্ড মুঙ্ক অন্বেষণ   সত্যির ভালো আর ভালোর সত্যি নিয়ে  লোফালুফি খেলা চলে |  ভালো গলে পড়ে যায়, হায় - কখনো বা সত্যি গলে পড়ে |  শেষ আলোতে বলেই এত সুর  শেষ আলোতে বলেই এত ভয়! অবচেতন   এসব স্বপ্ন তার ঝড়ের গানের সুর- নিকোনো উঠোনে এসে ভোররাতে,  চলে যায় তছনছ করে |  দিন আসে, দিন শেষ হয়,  তাগায় বাঁধা মাদুলিটায় হাত বুলিয়ে  বারবার মনে করাতে হয়- ভুলো না যেন, তুমিই আমার সব |  উত্তরণ   ক্রমশই সরে যায় সব নৈপুণ্য থেকে |  পরিপাটি ক্ষমতার  ইস্পাতদুর্গ থেকে চুপিসাড়ে পালিয়ে- ঝুপ করে নিচে পড়ে  ঝোপঝাড়, আগাছার শুকনো গদীতে |  ধুলোর ওম মেখে  ভালো করে দেখে চারপাশ |  মাটির সঙ্গে গা সেঁটে এই প্রথম - এই প্রথম, বেশ ভালো বোধ হয় |  বাদামি বেজীর গায়ে  বিকেলের রোদ যেন!  একেবারে মনমতো রঙ ঠিকরায় |
‘পরিবেশ ও মার্কসবাদ – ভারতীয় প্রেক্ষিতে কিছু বক্তব্য’ অর্কপ্রভ সেনগুপ্ত ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৯। ইকোনমিক টাইমসের ই-পেপারের পাতা খুলতেই অনেকেরই চোখ আটকে গেছিল এক বিচিত্র ছবিতে। প্রায় হাঁটু অবধি ফেনা, তার মধ্যে ‘ছট’ পুজোর ডালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন মহিলা। ভারী আশ্চর্য ! ফেনার মধ্যে ‘ছট’ পালন করা হচ্ছে কেন ? খবরের হেডলাইন থেকেই পরিষ্কার হল বিষয়টি। যমুনা নদীর বিষাক্ত ফেনার মধ্যে পবিত্র উৎসব পালন করতে গেছেন উপাসকরা। মুহূর্তে ছবি ভাইরাল। সেই ছটপুজোর দিন প্রকৃতি-পরিবেশ ও তাতে মানবজাতির কুফল নিয়ে বেশ লম্বাচওড়া লেখাও ঘুরতে লাগল ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে। অনেকেই ঘুরিয়ে দায়ী করলেন ওই পুজো দিতে যাওয়া স্থানীয় সাধারণ মানুষদেরই। ‘সারা বছর নদী নোংরা করবে তো আর কি হবে ? লোকজনের চরিত্রই ওইরকম !’ - এই জাতীয় ভাষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া গেল ভরে।  ৮ই এপ্রিল, ২০২০। সেই ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন। এবার সেই একই যমুনা নদীর ছবি। টলে টলে পরিষ্কার জল, দূষণের লেশমাত্র নেই। আগের মতো না হলেও, এই ছবিটি নিয়েও নেহাত কম চর্চা করলেন না নেটিজেনরা। তবে ভাষ্য কিন্তু সেই একই রইল। মানুষ দায়ী এই দূষণের জন্য। ‘করোনা
                   করোনার সময়ের কার্ল  প্রসূন মজুমদার  হেডঅফিসের বড়বাবুর হঠাৎ মহা ঝামেলা। গোঁফচুরি যাওয়ার থেকেও এখন তার বড়ো দুশ্চিন্তা। করোনাভাইরাস। মুশকিল হলো গেলুম গেলুম বলে হাঁকলেও এখন কেউ তাদের ধরে তুলতে আসছে না। এখন দেশবিদেশের আপামর সন্তান সোশাল ডিস্ট্যান্সিং- এ ব্যস্ত। বড়োবাবু তাই প্রায় ধরাশায়ী। নিজে থেকে খলবলিয়ে ওঠার তাগিদে তাই তিনি চিল্লিয়ে পাড়ামাথায় করছেন,কিন্তু সবাই যে তাঁর চিৎকারে খুব একটা কান দিচ্ছে তেমনটা মনে হচ্ছে না। এদিকে চেয়ারের লড়াই এক্কেবারে সামনে এসে পড়েছে। এই বছরের শেষের দিকেই হেড অফিসে নির্বাচনের ঘন্টি বাজবে। এইসময়ে প্রপাত ধরণীতলে হয়ে পড়ে থাকা যায় না। মাঝেমাঝেই তিনি বুঝতে পারছেন যে এভাবে চললে কুর্সি ফেরত পাওয়া অসম্ভব। তাঁর বিশ্বব্যাপী অফিসের এককোনার এক চিনে চেয়ার থেকেই তাঁর গোঁফচুরির ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস। মজা হচ্ছে যে তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না যে চিন থেকে যে গয়লার গোঁফ এসে তাঁর ঠোঁটের আগায় সেঁটে বসার থ্রেট দিচ্ছে তাকে তিনি সামাল দেবেন কীকরে।    ভারত বলে তাঁর অফিসের একটা ফ্র‍্যাঞ্চাইজি তিনি ইদানিং ব্যাপক আরামে চালাচ্ছিলেন। সেখানে তি