সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
   " অন্ধকারে হাতে আসে হাত      কে তাকে ধরেছে অকস্মাৎ      কে সে? কথা বলো, কথা বলো।                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো "                                              ( শক্তি চট্টোপাধ্যায়) ঋণ স্বীকার ও ব্লগজিনের সদস্য বন্ধুরা দীপঙ্কর বাগচী, প্রসূন মজুমদার, আনন্দী চট্টোপাধ্যায়, সৌভিক বসু ও অর্ণব চৌধুরী
বিস্মৃতির পাতা থেকে রবীন আদকের কবিতা সুখ-দুঃখ বুকের গভীরে কিছু দুঃখ থাকে সব মানুষেরই          চোখের পাতার নিচে জল      বুকের ভিতরে এক পবিত্র সমাধি                      গহন শীতল। বহতা হারালে নদী বালির বিস্তারে শুয়ে থাকে            চোখের পাতায় ফল্গুধারা,       বালি সরালেই জল অশ্রুর কিনারা। আমরা সবাই তবু সুখ নামে শুকপাখি পুষি            ছোলা-ছাতু তুলে দিই দাঁড়ে                             এবং ভাঁড়ারে যখন থাকেনা কিছু প্রাচীন দুঃখের কাছে যাই পাখি পিছু ডেকে বলেঃ কোথায় যাচ্ছ হে?                       পাপে,পূন্যে,মোহে নিরুত্তর হেঁটে যাই পুরাতন অস্তিত্বের কাছে মজা নদী জেগে ওঠে, সমাধির নিচে রাখি ফুল        সুখ-দুঃখ কাঁপে যেন চোখের পাতায়                       অমোঘ নির্ভুল। শস্য ক্ষেত থেকে পাকা ধানের সোনালী কার্পেট গুলি                                  তোলা হচ্ছে গরুর গাড়িতে,                                           ধান কাটা শেষ হ'ল। এখন বিপুল মাঠে আদিম পাখিরা ধান খোঁটে, লক্ষ্মীর পায়ের পাতা থেকে খসে পড়া নুপুর: ধান। এখন জীবন যেন শস্যপ্রবণ
Translation Subhasish Bhaduri's Poetry Translated by Amrita Bera    Companion Hey! If there is time, lets go on a trip to some mountain, somewhere.Meandering through the hilly roads, we will ascend there, where with slightest of imagination, anyone would be able to touch the clusters of clouds. And then, this spent, dejected, prudently skilled city will also seem to be a dunce. Just imagine, history of the rocky paths reverberating like footsteps, near your feet! The grandeur of expanse of the waistline of the pines! Such amorous passion, imagine. Howsoever, may be on a pretext, let's go once! Four quarters The first span of night Let me gradually defuse the Light of the stars Drape a piece of cloud Pull a curtain of heavy mist Over the doors and windows The room has become pliant Now go to sleep It's almost midnight Midnight Away from the crowd In your camp When the nightlights get lit Like a dejected sentinel I
অনুবাদ কবিতা কবীরের কবিতা অনুবাদ – চৈতালী চট্টোপাধ্যায়  চৈতালীর কবীর ১ মন তো অসাধু ব্যবসায়ী। তাতে লগ্ন হয়ে আছে এক কুটিলা পত্নী আর পাঁচ-পাঁচটি বেয়াড়া সন্তান! মন,ফিরবে না। বলছে কবীর, মনে ভারী শক্ত গিঁট পড়ে গেলে, সহজে খোলে না ২ কোরানে কিংবা বেদে, এ-শিক্ষা কোথাও নেই! লাগাম লাগিয়ে মুখে, পিঠে জিন পরাও, রেকাবে পা দাও। তারপর চলা-মন, তারপর পথ,নির্জন, সোজা স্বর্গে গেছে ৩ লোভ যেন ঢেউয়ের মতো। তোমাকে ডোবাতে কিছু জল লাগে না! রাজসিংহাসনে রাজা। রানী, রূপবতী। পূজারী পণ্ডিত, কিংবা ভেল্কি-দেখানো এক যোগী। নির্জলা সমুদ্রটিতে সব ডুবে গেলো! তবে,কে জীবিত? যার মন শিলায় গ্রস্ত, কবীর জানালো ৪ তীরে বসে থাকি। নৌকো আসবে। কোথায় যাচ্ছি? স্বর্গ আদৌ আছে নাকি! ওহে নয়নপথগামি! তোমাকে সর্বত্র দেখি আমি। কবীর মিনতি করে, এ-যাত্রা দাও রেহাই! আছি বেশ, এখানেই তো আমার ঠাঁই ( কবীর অনুবাদ করেছি বটে, কিন্তু সেই আধ্যাত্মিকতা বোঝার সাধ্য আমার নেই। সেই সময়ের ভক্তি আন্দ
প্রসূন মজুমদারের কবিতা   মৃতকথা কথামৃত মূল্য নেই যেসব কথার সেইসব কথারা তো মৃত প্রতিটি মূহূর্তে রোজ কথাদের মরে যেতে দেখি কারা যেন মনে করে শব্দেরা অমোঘ। স্তব্ধতার শব্দ শুনি কখনও অমোঘই মনে হয়। তবু যা যা উচ্চারিত সেই মৃদু অথবা সে দৃঢ় কথার ভিতরে ঘোরে মৃত সব গাছেদের শ্বাস। ফলত বিশ্বাস থামে,বাঁক নেয়,বাক থেকে মনে যে কথারা মরে যায় ঝরে যায় অনর্থের জলে তারা সব চুপিচুপি ফিরে আসে ব্যর্থতায়।স্তব্ধ হতে বলে।   ফুল ঝরে আলোর ফুলের গাছ বর্ষার বাগানে। ছন্দে না, স্বচ্ছন্দে দোলে এতোল- বেতোল। কাছ থেকে দেখে এই অকুল আষাঢ়ে অপ্সরাও মনে হতে পারে। কাছ থেকে দেখে তাকে রেখে দিতে ইচ্ছে হয় ভ্রমের বাগানে, ভিজে ঘ্রাণে। সমস্তই সম্ভাবনা। অসম্ভবের কাছে যাওয়া। যে ফুল ফুটেছে তার গর্ভের গরম ভাপে উড়ে আসে হাওয়া। রেণু ভাসে। ভেসে চলে, নিয়তির অনিয়ত ফুল, ভাসে ভবিতব্য - জলে হাওয়ার সুড়ঙ্গ  বেয়ে, ধীরে, আরও ঘূর্ণ্যমান  হাওয়ারই অতলে। ঘুমপাড়ানিয়া আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়বো। কবে? কেউ জানবে না। বাইরে বৃষ্টি হবে। কয়েকটা দাগ তাকিয়ে দেখবে ছিল। গাঙে মিশে যাবে
পূর্বা মুখোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা    ইতিবৃত্ত, ইতিবৃত্ত নয়...                  আঁচ ------- মরা অক্ষরের গায়ে যতটুকু প্রাণ, ততটুকু প্রেম। আমি আর ততোধিক নই। বাতাস ফুরিয়ে গেলে সর্বস্ব সমেত উবে যাব। ফেলে যাব দুটিমাত্র বই - 'ইতিবৃত্ত'।' ইতিবৃত্ত নয়'। ওরা কোনও পাঠক পাবে না। কড়াই --------- নেভা আগুনের আঁচ গসগসে হয়। উনুনের দূরছাই জ্বর। বাবা কি ওষুধ দেবে?রাত্তিরে উনোন ঘুমোবে? নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে কয়েকটা বছর? উনুন না জ্বেলে আমি কোনওদিন লিখতে  পারিনি। পালতেই পারিনি এই সামান্য জীবন ! 'এইসব সাময়িক উত্তেজনা ' উনি বলতেন। উনি, মানে শিয়রে শমন, আমি যাতে লেখাপত্র সুসিদ্ধ করতাম। অলীক ----------- রাত্রি একটার পর ঘড়ির কাঁটারা তীব্র হয় শ্বাসাঘাত গুণে গুণে লিখি জল দাও জল দাও জল দাও আমার শেকড়ে... জানলায় পর্দা ওড়ে, দেয়ালে তেষ্টার ছায়া পড়ে ঝুরিনামা শায়িত গাছের। দুহিতা --------- ধূপছায়া মেয়ে আহা ধূপছায়া মায়ের সন্তান পিছু পিছু দু পা হাঁটে, দু আঙুলে আঁচল জড়ায়। 'ও কি রে মা !  ভয় পাস ? আয় দেখি, কাছে সরে আয় ' বলে ওর হাত ধরি, কাঁপা ক
অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার অধিকার ৫। এভাবে উনি শেখান কাগজের কাজ – বাড়ির সবক ’ টি তল,         এক ভাঁজে এসে  জড়ো হল।           একটি ক্ষুদ্র মানুষ            সে ভাবছে  ইমারৎ  
সৌভিক বসুর কবিতা বাঘ মেঘেদের চুল থেকে খসে পড়া বাজ  ঘুমন্ত মাটির বুকে রেখে যায় দাগ  যেন এক ডোরাকাটা ছোট্ট চিতাবাঘ  আহত মায়ের পাশে তুলেছে আওয়াজ জানলা   কাউকে না জানিয়ে দেখো, একটা রামধনু ভেসে উঠছে  সকাল থেকে একটা মাছি আমাকে ঘিরে গান গাইছে, এইমাত্র  একটা এম্বুলেন্স মৃতদেহ সমেত পাড়া ছেড়ে চলে গেলো... একশো দিনের ওপর হয়ে গেলো, বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে থেকে থেকে     দেখো, কেমন সরীসৃপ হয়ে গেছি এখন চোখ বুজলেই দেখতে পাই-  একটা লোক চীন-ভারত সীমান্তের উপরে দাঁড়িয়ে সৈন্যদের ফুল বিক্রি করছে, আর, তার পায়ের কাছে জড়ো করে রাখা আছে কয়েকশো মিসাইল  বহুদিন হয়ে গেলো আমি কোথাও বেড়াতে যাইনি, সারা পৃথিবী জুড়ে  পশু পাখিদের এখন সামার ভ্যাকেশন চলছে... আজ দুপুরবেলা একজন ফলওয়ালা একটাই মাত্র আম নিয়ে এসেছিল বাড়ির সামনে  ফেসবুকের নীল রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে কয়েকজন  কবি আধ্যাত্মবাদ দিয়ে চিৎকার করে  সারারাত ধরে... আমি চুপচাপ শুয়ে থাকি আর গুনগুন করি  ' Where have all the flowers gone ‘  দূরের বাড়িগুলোকে আমগাছ বটগাছ ভেবে ছবি আঁকি আর দেখি একট
তৌহীদা ইয়াকুবের কবিতা  রূপান্তর অজানা দিন এসে জাপ্টে ধরে বসে যায় পুরাতনী রোদে। পৃথিবীর রুপান্তর-সময় মহা যজ্ঞের মতো, পাশাপাশি পড়ে থাকে নিদালির ঘোর নিয়ে অসার অলসতা। জানা অজানায় জাগতিক আবর্তে সরল ও গরল সম্ভাষণ আহত করে প্রাচীন অভিমান। বৃত্তস্থ খরতা বিভক্ত করে জীবনের ধারাপাত । তারপর একে একে নির্জন নিঃসঙ্গ মন খারাপের বিপন্ন সময় গিলে নেয় যাবতীয় আলো , দিগন্তে ছড়ানো হিরেকুচি বৈভব। মুখস্ত রাত্রি-দিন অন্ধকার ও স্তব্ধতায় জন্মালো যে অনুভব ভুলে যেতে হয় তাকে । সূক্ষ্মতম অনুনাদ প্রতিদিন বিদ্ধ করে যত তারচেয়ে বেশী বৃত্যস্থ কটাক্ষের বাঁজখাই শব্দ দূষণ। বিসর্জনের সুর শুধুই কোলাহল তাতে ছেড়ে যেতে হয় উন্মুখ দিগন্ত নোনা জল , কুড়োনো ঝিনুক। এই সব মুখস্ত দিন রাতের ভিতর বাদামি খড়ের পাখি স্বপ্নের নিপুণ বুনন নিয়ে আসে যদি আমাদের ভেবে নিতে হয় - আলোর মুখোশ মানে প্রকট আন্ধকার। তবুও - রূপান্তর অনায়াসে আমাদের বিভ্রান্ত করে। আমাদের যৌথ দিন প্রায়ই আমাদের যৌথ দিন অসুখে পরে, তুমি সুস্থ আয়ুর ধারনা নিয়ে, জানালায় রোদ-হাওয়ার তাবিজ ঝুলিয়ে রাখো। আমাদের সুখী পারিবারিক পটভূমি দ
অনির্বেদ পান্ডার কবিতা  পতঙ্গ জীবনের আবছায়া থেকে কয় মুহুর্ত ১. গোপন বৃষ্টি আঁচলে লুকিয়ে, চলেছ তুমি অন্য শহরে আজ লম্বা কোট সাথে নিও তুষার ঝরে ও পথে; ছিঁড়ে দিলাম কয়েকটি পাতা সঙ্গে নিও, সঙ্গে থাক যদি প্রয়োজন একান্ত দ্বৈরথে। আগামীর শহরগুলিতে কিভাবে নিঃশ্বাস নেয় কিভাবে সবাই বলে 'ভালোবাসি' কাদের রক্তে কোথায় পালন মানুষের উৎসব হাস্যকর জ্যোৎস্নার নীচে কিছুই জানো না তুমি তবুও যাত্রা হোক তবুও যাত্রা আজ গোপন বৃষ্টি আঁচলে লুকিয়ে পা রাখো সে পথে যে পথ এখনও শোনেনি বৃষ্টির আওয়াজ... ২. অদ্ভূত সূর্য এক ভেসে ওঠে রাতের আকাশে এতটুকু পথ আর ক্লান্ত তারার চাদর জড়িয়ে নিমেষেই পার হতে পার তুমি নিমেষেই ছুঁয়ে ফেলতে পার ইতস্তত উড়তে থাকা ঝলমলে অক্ষরঝাঁক তবু, বিগত অনেক রাতের মতোই নিয়মমাফিক, হাওয়া বয়ে আসে ধীরে চৌকাঠের এপাশে শান্ত, বসে থাকো তুমি শূন্য শাদা কাগজের কাছে, অনন্ত, ব্যর্থ প্রতীক্ষায় - পতঙ্গের দীর্ঘ ছায়া কেঁপে কেঁপে ওঠে ঘরে ৩. অতীতের কাহিনীরা দল বেঁধে এলো আক্রমণে তুমি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লে খামখাই ফিরবে না আর, এই ঠিক করে - একে একে হেঁটে
আম্রপালি দে'র কবিতা  জলের মতন  ১ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দীর্ঘ হতে চলেছি কখনো প্রেমিকের আঙ্গুল মুঠিতে নিয়ে ঘুরি  কখনো বা পা ফাঁক করে শুয়ে পড়ি খবরের কাগজে ফোস্কার ভেতরে আজন্ম জল থৈথৈ করে, জল তো সামাজিক সঙ্গম আমি কি রটিয়ে দিতে পারি না জলের খবর? ২ আত্মমগ্নতা কাটিয়ে আরো একা হতে চাইছি চাইছি দেবীর মুখের দিকে সরাসরি তাকাতে দেবীর চোখ অপাপবিদ্ধতার আতঙ্কে  টনটন করে ওঠে  অদ্ভুত ভয়ে একরাতে তিনি পাথর হয়ে ওঠেন... ৩ অকৃতদারের মতো আশ্বিনের সাদা কাশ দেখি আমি, দেখি, একটি দুর্দান্ত লাশ রোজ পাশে হেঁটে যায়  আমি পাশ ফিরে অগ্রাহ্য করি ,  ঘুমের ভেতরে ঢুকে যাই নরকে, অথচ বুঝিনি এ আমারই আর্তনাদ, বাতানুকুল ঘরের স্যাঁতস্যাতে আত্মপ্রদীপ...
মেখলা সেনের দুটি কবিতা প্রশ্নোত্তর কতটা ক্ষয় পেলে ক্ষয়হীন হওয়া যায়? এক জীবনে কতটা সমাপ্তি জেগে থাকলে দীর্ঘজীবী হই আমরা? কতটা দগ্ধ হতে হতে আপাদমস্তক আগুন হয়ে উঠি নিজেই? ঠিক কতটা গভীর ক্ষত, প্রকৃত অক্ষত হওয়ার প্রতিশ্রুতি লিখে রাখে? আরও কতদূর রাস্তা জরিপ করে  অচেনা এক রাস্তা হয়ে যায় এই দুটো পা? মুছে গেলে এ সমস্ত প্রশ্নচিহ্ন,   উত্তর দিও, নিখোঁজ ডাকবাক্সে! কিছুটা স্বভাবের মতো জানালার পাশে বসলে হঠাৎ আলো নামছে সময় ছকভাঙা রাস্তায় জল পোহানোয় বৃষ্টি ছাতার বুকে রোদ্দুর রঙে অপেক্ষাদের ঝড়... মেঘেদের থেকে ধার নিয়ে সংলাপ দু চোখের নীচে সম্ভাবনার মতো লিখে নাও স্রোত এরপর যতবার খুঁজেছো ততোই ঘরপোড়া অন্তর। প্রত্যেকবার স্রোতজন্মের মতো জলের মন্ত্রে স্বপ্ন বুনতে শেখা.. প্রত্যেকবার ফুরিয়ে যাওয়ার শেষে জন্ম জিতুক সংখ্যা বাড়ার পর।
একটি বিশেষ নিবেদন হাউ ডু ইউ ডু ভৌ ডেকেছে কুত্তা ব্যাটায় ম্যাঁও ডেকেছে বিল্লিতে স্বদেশপ্রেমের লাগল হিড়িক  পাহাড় থেকে দিল্লিতে প্রেমের জোয়ার এমন গোঁয়ার  উলটে গেলো ছিপ ডিঙি  পড়ল জ্বালে বোয়াল মাগুর  ট্যাংরা পুঁটি কই শিঙি  এসব আমিষ ঠুনকো রাবিশ হাক্কা নুডুল ম্যান্ডারিন  পাকিস্তানের সঙ্গে লুডো  চুকিতকিত খেলায় চিন  কার তাতে কী আমার ঢেঁকি  স্বর্গে গিয়েও ব্যেওসা চায়  কয়লা কালি পাথর বালি  বিক্রিবাটার ভীষণ দায়  দেশ যদি সব বুঝতে পারে  হয় যদি সব না-পসন্দ  এই দেখোনা স্বদেশপ্রেমের  পর্দা দিয়ে করছি বন্-ধ এই পাশে সব সৈন্য শহিদ  ওই পাশে ধায় আম্বানি  বিক্রিবাটা জোয়ারভাটা  রপ্তানি আর আমদানি                           শুভাশীষ ভাদুড়ী  ঋণ স্বীকার ও ব্লগজিনের সদস্য বন্ধুরা দীপঙ্কর বাগচী, প্রসূন মজুমদার, আনন্দী চট্টোপাধ্যায়, সৌভিক বসু ও অর্ণব চৌধুরী
গদ্য কোয়েরানটাইন শবর  অনন্ত  সময়-- যা বহমান । আমি তার থেকে একখণ্ড খামচে তুলে নেই। নিজেকে স্থাপন করি তার ওপর এবং আবিষ্কার করি একটি ভূখন্ড-- যার একমাত্র অধিপতি আমি। আমি রাজা, আমি মন্ত্রী, আমিই সেনাপতি, পাত্র, মিত্র, অমাত্য। আবার আমিই এই ভূখন্ডের একমাত্র প্রজা। আমি শাসক এবং শাসিত।স্বৈরাচারী এবং বিদ্রোহী। আমি এই ভূখন্ড শাসন করি, রক্ষা করি। দন্ড দেই। দন্ডিত হই। কারাগারে নিজেকে নিক্ষিপ্ত করি। আবার একসময় সেই কারাগারে সুড়ঙ্গ খনন করে নিজেকে মুক্ত করি এবং রাজার বিরুদ্ধে ঘোষণা করি যুদ্ধ। এইসব পরস্পর বিরোধী ঘটনা সমূহ এই ভূখন্ডে চলতে থাকে, চলতেই থাকে।উদ্ধত, দুর্বিনীতদের রাজা হিসেবে আমি বহিষ্কার করি, নির্বাসন দেই। যা কিছু সজীব, প্রাণবন্ত-- তা এই ভূখন্ডে নিষিদ্ধ, কেননা তারা সবসময়ই বিপজ্জনক। একবার একটা সিংহ এই ভূখন্ডে প্রবেশ করেছিল এবং আমি তৎক্ষনাৎ তাকে একটা খাটে রূপান্তরিত করেছিলাম। এইভাবে একদিন একটা চিতাবাঘকে আমি অতি সহজে টেবিলে এবং একটি শেয়ালকে চেয়ারে বদলে নিয়েছি। আমি বেশ মনে করতে পারি সেই হাতিটিকে যে আমার ভূখন্ডের প্রবেশদ্বার এর তোরনট
আলফ্রেড লিখটারস্টাইন-এর কবিতা অনুবাদ- হিন্দোল ভট্টাচার্য সকাল আর সমস্ত রাস্তাই পড়ে আছে বিবশ হয়ে, পরিষ্কার এবং স্বাভাবিক। মাঝেমাঝে শুধু একজন উন্মাদ লোক হুড়মুড় করে ছুটে যাচ্ছে। একজন অত্যন্ত স্মার্ট যুবতী তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করছে,- একজন রুটিবিক্রেতা, শুধু, আকাশের দিকে সুন্দর তাকিয়ে রয়েছে। মৃত সূর্য বাড়িগুলির উপরে ঝুলে আছে, ঘন হয়ে আছে কুয়াশা একটি বারের বাইরে চারজন মহিলা এলোমেলো পা ফেলছে এদিক ওদিক ক্যাবের ড্রাইভার ঘাড় ভেঙে পড়ে আছে রাস্তার উপর। আর সবকিছুই উজ্জ্বল ভীষণ, আলোকিত, পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। একজন বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ভেসে গেলেন উন্মাদের মতো, অন্ধকার নিয়ে এক অসুস্থ ঈশ্বর...এই দৃশ্যে... যা তিনি ভুলে যাবেন সহজেই অথবা মনে পড়বে না তাঁর... বিড়বিড় করে কিছু বলবেন...মারা যাবেন আর হাসবেন তিনি স্বপ্ন দেখবেন একটি সেরিব্রাল স্ট্রোকের...প্যারালিসিস এবং পচে যাওয়া হাড়ের। বন্ধু শুকনো পাতা রয়েছে পড়ে অমনোযোগী এমন কালো মেঘের নীচে মানায় না ধোঁয়ায় ঘেরা বসন্তকাল, তীব্র এমনদিনে মানায় না আর মানায় না তোমা
পেত্রার্কের কবিতা অনুবাদ - সৈয়দ কওসর জামাল (ইতালিয়ান নাম  ফ্রান্সেস্কো পেত্রার্কা, বিশ্বের কাছে পরিচিত পেত্রার্ক নামে। ইতালীয় এই কবি ও লেখকের জন্ম হয়েছিল ১৩০৪ সালের ১৮ জুলাই। বেঁচে ছিলেন প্রায় সত্তর বছর। পড়াশুনা যদিও আইন নিয়ে, ক্লাসিক সাহিত্যই ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। তিনিই ইতালিতে মানবতাবাদী দর্শনের উদ্গাতা, আর এই মানবতাবাদের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিল রেনেসাঁস যুগ। আজকের বিশ্ব পেত্রার্ককে জানে কবি হিসেবে। বিশেষ করে সনেট রচয়িতা হিসেবে। তাঁর কবিতায় লরার প্রতি প্রেম আদর্শ প্রেমের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে। পেত্রার্কের সনেট সব দেশেই শুধু গৃহীত হয়েছে তাই নয়, তাঁর সনেটের আঙ্গিক অনুসরণযোগ্য হয়েছে।) দুটি সনেট (টমাস ওয়েনয়ার্থ হিগিনসন-এর ইংরেজি অনুবাদ অবলম্বনে) ১ মধুর বাতাস ঘিরে থাকো সোনালি চুলের গুচ্ছ একরাশ ভেসে থাকো, ভাঁজে ভাঁজে তাদের সঙ্গেই মিশে থাকো শোভনসুন্দর হয়ে অতি প্রিয় সোনারং আকাশেই আঁকো আবার জড়াও তাকে, যে আমার হৃদয়ের প্রিয় অভিলাষ। তার দুচোখে তোমার দৃষ্টি প্রলম্বিত, যার সৌন্দর্যরতন আমার হৃদয়ে বেঁধে, হৃদয় নিঃশেষ করে তার বায়ু যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার সমস্ত