সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান





প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা  


Edvard Munch 












রাস্তায় এখন

চশমা কিছু দেখে না 
চশমায় আলো পড়ে 

বিরক্ত চোখ বন্ধ করে শাটার 

সেই মুহূর্তেই 
রাস্তায় খুনটা ঘটে 
আর 
রাজসাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হয় একটা কালো বেড়াল 

এদিকে 
দিগন্ত বলে ব্যাপারটা ক্রমশ চুকেবুকে যাচ্ছে 
অন্তর্জালে প্রায় সব সম্পর্কগুলোই 
জড়ানো প্যাঁচানো আঠা নির্ভর 

আর তুমি এর থেকে বেরোতে চাইছো 

তোমার লোভ তোমায় আটকাচ্ছে 
মোহ তোমায় থমকে দিচ্ছে 

রাস্তায় খুন
আর 
ঘরের ভিতর আঠা 
এর বাইরে 
তোমার চশমা আপাতত কিছুই দেখতে পাচ্ছে না ...






এভাবে এখন 

বহু থেকে সরে যাও
লুকাও 

নিজেকে বুঝিয়ে চলো
ব্যবধানই সব 

হাতে হাত রেখেছিলে 
আজ সেই হাতে অভিশাপ 

এবার গোটাও 

ছায়ার ভেতর ছায়া
টিকে থাকা শুধু 

তবু লোভ 
এভাবে বাঁচার



 এটুকুই সবুজ

পরাজিত শতাব্দিতে বেঁচে আছো একথা স্বীকার করো

না, বলা ভুল
বেঁচে নেই, টিকে আছো

স্বার্থপরতাই পুঁজি তোমার
দূরত্ব সম্পদ 

রাস্তাঘাটে, রেললাইনে যারা 
বেঘোরে মরছে
তাদের কি তোমার মত মানুষ বলে 
আগে কখনো স্বীকৃতি দিয়েছো

তারা তো তোমার কাছে
রাজনৈতিক সংখ্যামাত্র

তোমার স্বপক্ষে এলে
তারা সচেতন
বিপক্ষে গেলে
বোকা 

আর আজ তুমি ভার্চ্যুয়ালি 
স্যাড কিম্বা অ্যাংরি

এটাই নাকি তোমার দায়িত্বপালন

ভেবে দেখো
রাষ্ট্রের সাথে সহমত হয়েছো
শুধুমাত্র টিকে থাকবে বলে

রাষ্ট্র সে সুযোগ কি নেবে না 

তোমার পায়ের থেকে 
বালি সরবে না তো কার 

কাজেই থাকো তোমার নিরাপদ দূরত্বে
থাকো সন্দেহে সংশয়ে 
কালনেমির লংকাভাগে
তোমার অপর এসে রোজ এসে
বমি করুক
তোমার ওপর 
প্রাপ্য এটাই 

শুধু, এরইমধ্যে, দিনান্তে, এখনও যে চিঠি লেখার কথা ভাবতে পারছো

এটুকুই সবুজ

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার ...
বিস্মৃতির পাতা থেকে রবীন আদকের কবিতা সুখ-দুঃখ বুকের গভীরে কিছু দুঃখ থাকে সব মানুষেরই          চোখের পাতার নিচে জল      বুকের ভিতরে এক পবিত্র সমাধি                      গহন শীতল। বহতা হারালে নদী বালির বিস্তারে শুয়ে থাকে            চোখের পাতায় ফল্গুধারা,       বালি সরালেই জল অশ্রুর কিনারা। আমরা সবাই তবু সুখ নামে শুকপাখি পুষি            ছোলা-ছাতু তুলে দিই দাঁড়ে                             এবং ভাঁড়ারে যখন থাকেনা কিছু প্রাচীন দুঃখের কাছে যাই পাখি পিছু ডেকে বলেঃ কোথায় যাচ্ছ হে?                       পাপে,পূন্যে,মোহে নিরুত্তর হেঁটে যাই পুরাতন অস্তিত্বের কাছে মজা নদী জেগে ওঠে, সমাধির নিচে রাখি ফুল        সুখ-দুঃখ কাঁপে যেন চোখের পাতায়   ...
দীপঙ্কর বাগচীর কবিতা paul gauguin  ঈশ্বর ও গাধার সংলাপ   সকল কাজের কাজ, ফেলে আসে আমাদের গাধা এ জীবন ঘূর্ণমান, এ জীবন বস্তুতঃই বাধা কে তবে ফিরেছে দূরে, সন্ধ্যা সূর্যে এতো রঙ করা বিষাক্ত বীজের ক্ষেত ছুঁয়ে আছে যেভাবে পাহারা এই রাত্রি নমাজের, এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু, আছে নাকি দিনের অদূরে মানুষের মতো ঠোঁট, মানুষের মতো কেউ বসে আমার সমস্তবেলা কেটে যায় কীসের আবেশে ঋতুও যখন আসে ধস্ত হয়ে বিকারের প্রায় দূরে দূরে জ্বলে তারা, বালিকারা কোথায় হারায় দিনের ভিতরে দিন ডুবে গেলে গোলার্ধের পরে কে তবে এসেছ এই রাত্রিদিন এমন আষাঢ়ে এই রাত্রি নমাজের এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু আছে নাকি দিনের অদূরে বাতাস কচুরিপানার দেশে, এসে গেছি অবশেষে ভাঙা বাড়িটার আলো বলেছিলে সব ভালো কোন পথে তোমাকে হারাই  আমার তো কিছু নাই , অন্ধকার বনে তাই একা একা ঘুরে গেছি সব কিছু মিছি মিছি বাতাসের দোলা লেগে ,এসেছে সবাই যতো ভাবি এলোমেলো ,কুয়াশায় কারা এলো ঝোড়ো হাওয়া বুকে নিয়ে এপাড়া ওপাড়া দিয়ে উড়ে যায় টিন ছাদ ,দেখো সাঁই সাঁই তুমি বলেছ...