সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


সম্পাদকের কলমে








ক্যালেন্ডারে গীষ্মকাল হলেও এখন আকাশে আর তেমন প্রখরতা দেখা যাচ্ছে না। যেন এই অতিমারী সংশয়ের ভিতরে এ-সমাজের এক শ্রেণীর দুর্দশার আক্ষেপ কিছুতেই ঘোচাতে পারছে না প্রাচ্যের আকাশ। সুবিধাভোগী মানুষের উৎপাত এপ্রকৃতি যেন কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছে না, ক্রমশ ফুঁপিয়ে উঠছে আরও। দেশ-রাজনীতি আর বুর্জোয়ার দালালরা এখনো যে যার মুনাফা অর্জনের প্রচেষ্টায় আছে। এমনকি স্থূল মানবিকতা দিয়ে সামাজিক ভাবে মহান হতে চাওয়া একদল কবি-সাহিত্যিকেরাও এরই মধ্যে বিপণি হয়ে উঠতে চায়। তাদের প্রশ্ন নেই, অথচ তারা স্পষ্ট করে ভাবেন যে তারা এই সভ্যতার এক অনিবার্য সৃষ্টি।

আজ মঙ্গলবার আকাশে ফের পাখির ওড়াউড়ি। এইসবের ভিতরেই তারা গান গাইছে। অসংখ্য বোবা মানুষের হয়ে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কী যেন গেয়েই চলেছে...






              

মন্তব্যসমূহ

  1. খুব ভালো বক্তব্য। আমিও বিশ্বাস করি,- "সুবিধাভোগী মানুষের উৎপাত এপ্রকৃতি যেন কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছে না, ক্রমশ ফুঁপিয়ে উঠছে আরও।"

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার ...
   " অন্ধকারে হাতে আসে হাত      কে তাকে ধরেছে অকস্মাৎ      কে সে? কথা বলো, কথা বলো।                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো "                                              ( শক্তি চট্টোপাধ্যায়) ঋণ স্বীকার ও ব্লগজিনের সদস্য বন্ধুরা দীপঙ্কর বাগচী, প্রসূন মজুমদার, আনন্দী চট্টোপাধ্যায়, সৌভিক বসু ও অর্ণব চৌধুরী
বিস্মৃতির পাতা থেকে রবীন আদকের কবিতা সুখ-দুঃখ বুকের গভীরে কিছু দুঃখ থাকে সব মানুষেরই          চোখের পাতার নিচে জল      বুকের ভিতরে এক পবিত্র সমাধি                      গহন শীতল। বহতা হারালে নদী বালির বিস্তারে শুয়ে থাকে            চোখের পাতায় ফল্গুধারা,       বালি সরালেই জল অশ্রুর কিনারা। আমরা সবাই তবু সুখ নামে শুকপাখি পুষি            ছোলা-ছাতু তুলে দিই দাঁড়ে                             এবং ভাঁড়ারে যখন থাকেনা কিছু প্রাচীন দুঃখের কাছে যাই পাখি পিছু ডেকে বলেঃ কোথায় যাচ্ছ হে?                       পাপে,পূন্যে,মোহে নিরুত্তর হেঁটে যাই পুরাতন অস্তিত্বের কাছে মজা নদী জেগে ওঠে, সমাধির নিচে রাখি ফুল        সুখ-দুঃখ কাঁপে যেন চোখের পাতায়   ...