সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান



                     ছবি সৌভিক বসু

সৌভিক বসুর কবিতা 

ভূপর্যটক

এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে একদিন  লাশ হয়ে যাবে। তোমার অতি প্রিয় কাপড়ের টুপি ইঁদুরে খেয়ে ফেলেছে। তেমন কোনো ভয় বা আতঙ্ক গ্রাস করতে পারেনি তোমায়, জলের অভাবে অথবা জ্বরে অনেকদিন ভুগে মারা গেছে যারা তাদের নাম মনে তো পড়বেই। জীর্ণ তাবুর ভেতরে  এসব ভাবতে ভাবতে, হে ভূপর্যটক, মৃত্যুর পর এক ঐতিহ্যবাহী হাওয়া তোমাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জীবনের দিকে, যেখানে কেউ কোনোদিন গাছ কেটে তীর্থে যাবে না...



আকাশের দিকে চোখ রেখে শুয়ে ছিলে সারারাত। গায়ে ছিল তাপ্পি মারা শার্ট আর ঢলঢলে পাজামা ধুসর, অবাধ্য শিশুর মতো বৃষ্টি তোমাকে তচনচ করে ভোরবেলা থেমে গেলো। এখন কেউ নেই তোমাকে গালমন্দ করার, আগুন জ্বালাবার মতো কাঠ সেও তো নেই- পিঠের ঝোলা থেকে ডায়েরি আর পেন্সিল বের করে নতুন একটা চিঠি লিখতেই পারো। বলতেই পারো, হে সভ্যতা, আমাকে উদ্ধার করো সমস্ত দুর্যোগ থেকে। পায়ের বুড়ো আঙুল থেকে একশ হাত দূরে একটা নেকড়ে মাটিতে নাক দিয়ে গন্ধ শুকছে, তোমার আদর্শ ভ্রমণের পথ যেকোনো সময় ফুরিয়ে যেতে পারে


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার ...
   " অন্ধকারে হাতে আসে হাত      কে তাকে ধরেছে অকস্মাৎ      কে সে? কথা বলো, কথা বলো।                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো "                                              ( শক্তি চট্টোপাধ্যায়) ঋণ স্বীকার ও ব্লগজিনের সদস্য বন্ধুরা দীপঙ্কর বাগচী, প্রসূন মজুমদার, আনন্দী চট্টোপাধ্যায়, সৌভিক বসু ও অর্ণব চৌধুরী
দীপঙ্কর বাগচীর কবিতা paul gauguin  ঈশ্বর ও গাধার সংলাপ   সকল কাজের কাজ, ফেলে আসে আমাদের গাধা এ জীবন ঘূর্ণমান, এ জীবন বস্তুতঃই বাধা কে তবে ফিরেছে দূরে, সন্ধ্যা সূর্যে এতো রঙ করা বিষাক্ত বীজের ক্ষেত ছুঁয়ে আছে যেভাবে পাহারা এই রাত্রি নমাজের, এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু, আছে নাকি দিনের অদূরে মানুষের মতো ঠোঁট, মানুষের মতো কেউ বসে আমার সমস্তবেলা কেটে যায় কীসের আবেশে ঋতুও যখন আসে ধস্ত হয়ে বিকারের প্রায় দূরে দূরে জ্বলে তারা, বালিকারা কোথায় হারায় দিনের ভিতরে দিন ডুবে গেলে গোলার্ধের পরে কে তবে এসেছ এই রাত্রিদিন এমন আষাঢ়ে এই রাত্রি নমাজের এই রাত্রি প্রার্থনার ঘোরে উপাসনা ছাড়া কিছু আছে নাকি দিনের অদূরে বাতাস কচুরিপানার দেশে, এসে গেছি অবশেষে ভাঙা বাড়িটার আলো বলেছিলে সব ভালো কোন পথে তোমাকে হারাই  আমার তো কিছু নাই , অন্ধকার বনে তাই একা একা ঘুরে গেছি সব কিছু মিছি মিছি বাতাসের দোলা লেগে ,এসেছে সবাই যতো ভাবি এলোমেলো ,কুয়াশায় কারা এলো ঝোড়ো হাওয়া বুকে নিয়ে এপাড়া ওপাড়া দিয়ে উড়ে যায় টিন ছাদ ,দেখো সাঁই সাঁই তুমি বলেছ...