ব্রতীন সরকার'এর চারটি কবিতা
ছবিঃ গুগুল
কাস্তে
ইতিমধ্যে শুশ্রূষা বাড়ি ফিরে গেছে,
যত কথা জমে ছিল, যত কথা ওষুধ খায়নি নিয়ম করে
যত কথা মাঝখানে আড়াআড়ি বিভক্ত
তত তুমি পেড়েছ নক্ষত্র,
হাতে হাতে সূর্য ডুবে গেছে
সব নদী একদিন মিশে যায় তার নিজস্ব ডাঙায়
সব বেঁচে থাকা, বাঁচারই প্রয়াসে
বিরতির পর
তুমি বলছো চাঁদ, আমি শুনছি কাস্তে।
ধানক্ষেত
রাস্তা বন্ধই থাকে,
সমুদ্রের দিকে মুখ করে বসি
নুন এসে লাগে পরিক্রমায়
এটাই ক্লাইম্যাক্স ভাবতে ভাবতেই
সমাধিক্ষেত্র ধানক্ষেত বনে যায়।
ফসল
কর্ষণ আর রোপণের মধ্যে
শ্রেণীগত কোনও পার্থক্য যদিও নেই,
যদিও আমরা একসাথে একটা ঘর পর্যন্ত
হেঁটে গিয়ে ফিরে এসেছি ;
ভিতরে একটা গাছ জন্মাচ্ছে,
শিলাবৃষ্টি তার পক্ষে সুখকর নয়।
ছোটলোক
আয়োজন আয়োজক ভাগ করে নিচ্ছে দৌরাত্ম্য
মন্ডপে মন্ডপে গুম হয়ে যাচ্ছে উপার্জন,
ফি-বছর
অভ্যাস আর খিদে কোলাকুলি করে বড় হয়
কাল রাতে যে ছোটলোক বিষ খেলো,
সে ব্রাম্মণ বা কৃষক , কোনটাই নয়।
Papa Tumi likhe jao।
উত্তরমুছুনদারুন হয়েছে***
উত্তরমুছুন