সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


সোহম চক্রবর্তী'র কবিতা


বইমেলার পর


যে বই হ’ল না পড়া,
তুমিও কি রয়ে গেলে
তারই কোনও গোপন পাতায়?

যেভাবে ঈশ্বরও ঠায়
হাপিত্যেশে, কোনও এক
চৌরাস্তার মোড়ে আপাতত দাঁড়িয়ে আছেন।
তাঁর উশখুশ চাওয়া – বাঁদিক-ডানদিক,
মহাকাল মেপে রাখা টাইটান ঘড়ি,
অজান্তে জরিপ করছে
কোনও এক হতভাগ্য চায়ের দোকান;

এসবই সত্য... তবে, তুমিও কি
রয়ে গেলে অপঠিত ঈশ্বরের প্রায়?

মেলামাঠ ভেঙে গেলে শুধু
প্রকাশক গুটিয়ে নিলেন
আমাদের নির্বাসিত ধর্ম আর প্রেম-সম্ভাবনা


বিরহ

তুমি যাও।

শতাব্দীপ্রাচীন চাঁদ
চেয়ে চেয়ে আমাকে দেখুক...

এপারে সুভাষ, ওইদিকে আল মাহমুদ,
মাঝখানে পূর্ণচ্ছেদ আর
সাতচল্লিশে না-জন্মানো আমি –

উদ্বাস্তু জোছনার জল
চরাচর ভাসিয়ে দিয়েছে...

দশকপারের চিঠি

প্রিয়তমা তোমাকেই দিয়ে যাব সব গুরুভার
নিঃশ্বাস গাঢ় হ’লে ফিরে আসা সমীচীন নয়
হয়তো কথার কথা আর কিছু লেখবারও নেই
বাকি সব নীরবতা বেঁধে রাখা ঝুলদড়ি চুপ
সহজ সুতোয় গাঁথা আর সব দায়ী আত্মঘাত
প্রিয়তমা তোমাকেই দিয়ে যাব দশক পেরোলে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার ...
বিস্মৃতির পাতা থেকে রবীন আদকের কবিতা সুখ-দুঃখ বুকের গভীরে কিছু দুঃখ থাকে সব মানুষেরই          চোখের পাতার নিচে জল      বুকের ভিতরে এক পবিত্র সমাধি                      গহন শীতল। বহতা হারালে নদী বালির বিস্তারে শুয়ে থাকে            চোখের পাতায় ফল্গুধারা,       বালি সরালেই জল অশ্রুর কিনারা। আমরা সবাই তবু সুখ নামে শুকপাখি পুষি            ছোলা-ছাতু তুলে দিই দাঁড়ে                             এবং ভাঁড়ারে যখন থাকেনা কিছু প্রাচীন দুঃখের কাছে যাই পাখি পিছু ডেকে বলেঃ কোথায় যাচ্ছ হে?                       পাপে,পূন্যে,মোহে নিরুত্তর হেঁটে যাই পুরাতন অস্তিত্বের কাছে মজা নদী জেগে ওঠে, সমাধির নিচে রাখি ফুল        সুখ-দুঃখ কাঁপে যেন চোখের পাতায়   ...
পূর্বা মুখোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা    ইতিবৃত্ত, ইতিবৃত্ত নয়...                  আঁচ ------- মরা অক্ষরের গায়ে যতটুকু প্রাণ, ততটুকু প্রেম। আমি আর ততোধিক নই। বাতাস ফুরিয়ে গেলে সর্বস্ব সমেত উবে যাব। ফেলে যাব দুটিমাত্র বই - 'ইতিবৃত্ত'।' ইতিবৃত্ত নয়'। ওরা কোনও পাঠক পাবে না। কড়াই --------- নেভা আগুনের আঁচ গসগসে হয়। উনুনের দূরছাই জ্বর। বাবা কি ওষুধ দেবে?রাত্তিরে উনোন ঘুমোবে? নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে কয়েকটা বছর? উনুন না জ্বেলে আমি কোনওদিন লিখতে  পারিনি। পালতেই পারিনি এই সামান্য জীবন ! 'এইসব সাময়িক উত্তেজনা ' উনি বলতেন। উনি, মানে শিয়রে শমন, আমি যাতে লেখাপত্র সুসিদ্ধ করতাম। অলীক ----------- রাত্রি একটার পর ঘড়ির কাঁটারা তীব্র হয় শ্বাসাঘাত গুণে গুণে লিখি জল দাও জল দাও জল দাও আমার শেকড়ে... জানলায় পর্দা ওড়ে, দেয়ালে তেষ্টার ছায়া পড়ে ঝুরিনামা শায়িত গাছের। দুহিতা --------- ধূপছায়া মেয়ে আহা ধূপছায়া মায়ের সন্তান পিছু পিছু দু পা হাঁটে, দু আঙুলে আঁচল জড়ায়। 'ও কি রে মা !  ভয় পাস ? আয় দেখি, কাছে ...