সুতপা মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
দিকভ্রান্ত
যা যা বলেছি গোপনে তোমাকে এতদিন সেসব
উড়িয়ে দিতে পার তোমার সেগুন বা হরিতকি বনে
আমাদের অনামা যাপন থেকে এক টুকরো আগুন
দিকভ্রান্ত প্রজাপতির মত হাওয়ার উল্লাসে ভাসতে ভাসতে নদীকে আলোর দিকে নিয়ে যায়, যে আলোর
কথায় বৃষ্টি নেমেছিল কয়েক শতক আগে বনের গহীনে শেষবারের মত।
এখনও
এখন যেমন বেদনার মুখচাপা কলসিখানি বসিয়ে রেখেছ ঘাটের ধারে , তেমন ঝরে পড়া যূঁইফুলগুলি
তোমার শহুরে যাপনের অত্যন্ত অভ্যন্তরে শোভা পাবে
এমনই তো ভেবেছিলে তুমি। বিকেলবেলার ব্যস্ত দোকানপাট রাস্তার মোড় সবকিছু নিয়ে ক্লান্ত বেলা ছুটে চলে যায় ধূ ধূ মাঠের দিকে। সেখানে চৈত্রের ধূলোর ঘূর্ণিতে শুকনো পাতা বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যেতে পারে স্বর্গেরঠিকানায়। তুমি জানতে— তবুও অভ্যস্ত কলিংবেলের শব্দে তোমার দুকান অযথা উত্যক্ত । বেদনার কলসিখানি এখনও বসে আছে—- বসে থাকবে দীর্ঘদিন। ফুলগুলি শুকিয়ে গেলেও।
সাদা দেওয়াল
আমার আদিগন্ত জুড়ে কলস কলস রোদ্দুর ঢেলে দিচ্ছ তুমি, কেননা কোন এক তীক্ষ্ণ তরবারির মতো রাত্রি এসে ছিন্ন করবে সাদা দেওয়াল, অবেলায় গাঁথা। আশঙ্কা নয়, আপাত বিশ্বাস থেকে তৈরি হচ্ছে নদী, রোদ্দুর যার জল। দুহাতের অন্জলি থেকে উপচে পড়া অপত্যস্নেহের মতো বিকেল ফুরিয়ে এলে তুমি কলস ফিরিয়ে নেবে, আবার তুলে নেব সাদা দেওয়াল
এই ভেবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন