অর্ণব চৌধুরীর কবিতা ছবিঃঃ আনন্দী চট্টোপাধ্যায় ধূর্ত সে জানে না, কীভাবে যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাষ্ট্রের ভাষায় কথা বলে.. কথা বলে, বলে চলে এভাবে কাকের বাসা ভেঙে, কারা যেন রেখে যায় আধপোড়া স্বপ্নগুলি তার সে জানে না– কুয়াশার মতো কেন কেঁপে ওঠে সন্ন্যাসিনী একা নিয়তি সন্ন্যাসের ধুলো ওড়ে তবু কতো কামনার সূতো নিজেকে জড়ায় কতো ভয় ভক্তি নিয়ে মানুষ রয়েছে এই বিনোদনের বহরে অসহায় যতোটা যে ততোটাই উপহাস্য হয়ে ওঠে আজ কতো পরিহাস নিয়ে বেঁচে থাকে নধর যাপন অথচ শহর জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকের দল হেঁটে যাচ্ছে দিকশূন্যে ভাতের গন্ধের মতো তার রাস্তা চলে গেছে ত্রিভূবণের পারে রোদের প্রখর তেজ আর উদাসীন হাওয়া শুধু যাচ্ছে পিছুপিছু, আদিগন্ত খিদের নেশায় নিশ্চুপ যদিও এখন জানি চুপচাপ ক্ষয়ে যেতে হয় অনুমান, হিংসা, ভয়, যেরকম তোমার দস্তুর আমারও সুখের দিন, সংসারে নশ্বরজন্ম পায় রক্তের ভিতরে তন্ত্র, ফিরে পায় শৈশবের হাসি যদিও এখন জানি, ফিরে আর আসবে না কিছু পাবো না তে...