সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান



মেখলা সেনের দুটি কবিতা












প্রশ্নোত্তর

কতটা ক্ষয় পেলে ক্ষয়হীন হওয়া যায়?
এক জীবনে কতটা সমাপ্তি জেগে থাকলে
দীর্ঘজীবী হই আমরা?
কতটা দগ্ধ হতে হতে আপাদমস্তক
আগুন হয়ে উঠি নিজেই?
ঠিক কতটা গভীর ক্ষত, প্রকৃত
অক্ষত হওয়ার প্রতিশ্রুতি লিখে রাখে?
আরও কতদূর রাস্তা জরিপ করে 
অচেনা এক রাস্তা হয়ে যায় এই দুটো পা?
মুছে গেলে এ সমস্ত প্রশ্নচিহ্ন,  
উত্তর দিও, নিখোঁজ ডাকবাক্সে!


কিছুটা স্বভাবের মতো

জানালার পাশে বসলে হঠাৎ আলো
নামছে সময় ছকভাঙা রাস্তায়
জল পোহানোয় বৃষ্টি ছাতার বুকে
রোদ্দুর রঙে অপেক্ষাদের ঝড়...

মেঘেদের থেকে ধার নিয়ে সংলাপ
দু চোখের নীচে সম্ভাবনার মতো
লিখে নাও স্রোত এরপর যতবার
খুঁজেছো ততোই ঘরপোড়া অন্তর।

প্রত্যেকবার স্রোতজন্মের মতো
জলের মন্ত্রে স্বপ্ন বুনতে শেখা..
প্রত্যেকবার ফুরিয়ে যাওয়ার শেষে
জন্ম জিতুক সংখ্যা বাড়ার পর।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অরিত্র সান্যালের গুচ্ছ কবিতা  কয়েকটি লেখা                                 [ যা আমি গিলে খেয়েছি এতকাল প্রতিটি নিরুদ্দেশের অন্ধকার আমার মধ্যে আজ অনর্গল উসখুস করে কালো কালি ] ১। গর্ত থেকে পতন উপচে পড়ছে আমার বিশাল সব জাহাজ একে একে শূন্যতা গেঁজিয়ে ভেসে ওঠে মণি ঘিরে এক বন্ধ মাল্লা আমার আমার চারিদিক সম্পূর্ণ নয় এখনও ২। চার পাঁচটা অসম্পূর্ণ বাক্যের মধ্যে আছি এখন সে সব থেকে সুতো বেরিয়ে আছে হাওয়া নাড়ায় তাদের একটা পর্দা যেভাবে আমাদের ঘিরে রাখে বাইরে অনাদি শীতল কাল ৩। একটি প্রশ্নচিহ্নের আঁকশি নেমে আসে কে কে ফিরে যেতে চাও ফেলে আসা মাধ্যাকর্ষণে? খাদ থেকে এখন আমার স্বর হাউই ছুঁড়ল একটি- তারপর? জীবন অনন্ত শূন্যতায় উদ্ধৃত ৪। আমার পিছনে এখন তুমি এসে বসেছ-  শান্ত নিস্পন্দ ঝরে যাওয়া এখন শুধুই যতটুকু বয়ে নিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস আমি তোমার না-লেখার ...
   " অন্ধকারে হাতে আসে হাত      কে তাকে ধরেছে অকস্মাৎ      কে সে? কথা বলো, কথা বলো।                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো                 শব্দ নেই, শব্দ নেই কোনো "                                              ( শক্তি চট্টোপাধ্যায়) ঋণ স্বীকার ও ব্লগজিনের সদস্য বন্ধুরা দীপঙ্কর বাগচী, প্রসূন মজুমদার, আনন্দী চট্টোপাধ্যায়, সৌভিক বসু ও অর্ণব চৌধুরী
বিস্মৃতির পাতা থেকে রবীন আদকের কবিতা সুখ-দুঃখ বুকের গভীরে কিছু দুঃখ থাকে সব মানুষেরই          চোখের পাতার নিচে জল      বুকের ভিতরে এক পবিত্র সমাধি                      গহন শীতল। বহতা হারালে নদী বালির বিস্তারে শুয়ে থাকে            চোখের পাতায় ফল্গুধারা,       বালি সরালেই জল অশ্রুর কিনারা। আমরা সবাই তবু সুখ নামে শুকপাখি পুষি            ছোলা-ছাতু তুলে দিই দাঁড়ে                             এবং ভাঁড়ারে যখন থাকেনা কিছু প্রাচীন দুঃখের কাছে যাই পাখি পিছু ডেকে বলেঃ কোথায় যাচ্ছ হে?                       পাপে,পূন্যে,মোহে নিরুত্তর হেঁটে যাই পুরাতন অস্তিত্বের কাছে মজা নদী জেগে ওঠে, সমাধির নিচে রাখি ফুল        সুখ-দুঃখ কাঁপে যেন চোখের পাতায়   ...